মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ বেনাপোল: যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল মহিলা আলিম মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়াকে যৌন হয়রানি ও উক্ত কাজে সহযোগিতার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার, তিন শিক্ষক ও একজন অভিভাবকসহ চারজনকে পুলিশ। বুধবার (০১ মে) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত রোববার পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠদানের সময় এক ছাত্রীকে কাছে ডেকে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় শরিফুল। “পরে মেয়েটি এ ঘটনা মাদ্রাসার শিক্ষিকা শাহনাজ পারভিন ও বাড়ির স্বজনদের জানায়। এসময় তার বাবা জিয়াউর রহমান জিয়া মাদ্রাসা সুপার মহসীন কবীরকে বিষয়টি অবহিত করেন। সুপার বিচারের আশ্বাস দিয়েও বিচার না করায় গত মঙ্গলবারে জিয়া সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা ফাঁস করে দিলে প্রশাসনের নজরে আসে। বুধবার রাতেই পুলিশ রিয়া মনি ও তার বাবার জবানবন্দী নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও এ কাজে সহায়তা প্রদানের জন্য মাদ্রাসা সুপার মহসীন কবীর এবং সহকারী শিক্ষক জামাল হোসেন, অভিভাবক সদস্য নুরুল ইসলামসহ ৪ জনকে আটক করে। সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক শরিফুল প্রতিদিনই রিয়া মনিকে উত্যক্ত করতো। লোক লজ্জার ভয়ে সে কাউকে কিছু বলতোনা। কিন্তু ঐ দিন সে সাহস করেই ঘটনাটি সবাইকে বলে দেয়। এদিকে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন হবার অজুহাতে মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক ও কমিটির লোকজন শরিফুলের পক্ষ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে রিয়া মনি বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে শার্শা থানায় মামলা করে। যার মামলা নং- ৩ তাং-০১-০৫-০১৯। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।