হুল উৎসবের উদ্বোধনে সিধু কানুর মতো সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতাদের সঙ্গে ডহরবাবুকে খুঁজেছিলেন তিনি। তিনি আবিষ্কারক পৃথিবীর ১১৪০ টি দেশের। আবার রবি ঠাকুরের প্রয়াণের সাত বছর পর তিনি নাকি বেলেঘাটায় গাঁধীজিকে ফলের রস খাইয়ে তাঁর অনশন ভঙ্গ করেছিলেন। এমন সব উক্তি করে এমনিতেই প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাতে নতুন সংযোজন হলো শনিবার দুপুরে। ‘জয় শ্রীরাম’ শব্দে গালাগালির খোঁজ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চন্দ্রকোনা টাউনের রাধা বল্লভপুর গ্রাম দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় পাস করছিল। এমন সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু বিজেপি সমর্থক “জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দেন। “জয় শ্রী রাম” শুনেই মুখ্যমন্ত্রী রেগে আগুন। কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অগ্নিশর্মা দিদি। তেড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “ওই পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস পাল! খালি গালাগালি দেবে।” ঘটনাচক্রে ওই ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় রাজ্য জুড়ে। তাতে গোটা ঘটনাক্রম দেখা যাচ্ছে জয় শ্রীরাম ধ্বনি থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার পর্যন্ত। কোনও ক্ষেত্রেই জয় শ্রীরাম ছাড়া বিজেপির উৎসাহী সর্মথকরা একটিও কু বাক্য বলেননি। এমন কাণ্ড প্রসঙ্গে বিজেপি তপসিল মোর্চার সভাপতি অরুন হালদার বলেন, “পুরুষোত্তম রাম শুধুমাত্র হিন্দুধর্মের প্রতীক নয়, আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির পূর্বপুরুষও বটে। রাম নাম জপ করতে কাদের অসুবিধা হয় তা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত কারো অজানা নয়। জয় শ্রীরাম শব্দে মুখ্যমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়া খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাকে অবাক করেনি। যার যেটা সংস্কৃতি, তিনি সেটাই করবেন বলেই আমার মনে হয়।” আমরা ভয়পেলে বা অশুভ শক্তির উপস্তিথি বুঝলে রাম নাম জপ করি একমাত্র অশুভ শক্তিই রাম নামে ভয়পায় তবে কি মমতা কোন অশুভ শক্তির উপাসক?