ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় আর.এম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন সুমন চন্দ্র রায়ের নিজ ফুলের দোকান ঘরসহ একটি রাধাকৃষ্ণ মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সুমন চন্দ্র রায় তার ফুলের দোকান উদ্বোধন করার প্রস্তুতিকালে হঠাৎ করে একই এলাকার আজাহারুল ইসলাম, লিপি বেগম, মোজাহারুল ইসলাম, আফলাতুন নেছা, করিমুল হক লাঠি সোটা নিয়ে দোকানের ভিতরে ঢুকে রাধাকৃষ্ণ প্রতিমা ভাংচুর ও দোকান ঘরের মালামাল লুটপাট করেন।
এ বিষয়ে ফুলের দোকানের মালিক রঘুনাথপুর এলাকার জিতেন চন্দ্র রায়ের ছেলে সুমন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে শুক্রবার (৪ মে) পীরগঞ্জ থানায় উক্ত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৩, তারিখ: ০৩/০৫/২০১৯)।
উল্লেখ্য, পীরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুরে সুমন রায় নামে সংখ্যালঘু এক ফুল ব্যবসায়ীর জমি জবর দখল করার অভিযোগে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গত (৭ এপ্রিল) রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের আনিসুল হক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সবাদ সম্মেলনে সুমন রায় লিখিত অভিযোগে জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত তার বসত বাড়ির জমি দলিলমুলে ক্রয় করে বসবাস করে আসছেন।
এ অবস্থায় সোয়া ১ শতক জমি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লিপি আক্তার, খয়রাত আলী ও মোজাহারুল ইসলাম তার উপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করে আসছেন। ইতিমধ্যে সুমন রায়ের উপরে পীরগঞ্জ থানায় ৩টি মিথ্যা মামলা করা হয়। বর্তমানেও লিপি আক্তার, খয়রাত আলী ও মোজাহারুল ইসলাম উক্ত সোয়া ১ শতক জমি তাদের নামে লিখে দিতে বিভিন প্রকার হুমকি দিয়ে আসছেন।
এছাড়াও সংখ্যালঘু সুমন রায়ের কাছে তারা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন এবং ওই জমি তাদের নামে না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় সুমন রায় ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহা: মনিরুজ্জামান (পিপিএম), জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পীরগঞ্জ থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তার জমি জবর দখল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ হয়রানীমূলক সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধে সংবাদ সম্মেলনে জোর দাবি জানান সংখ্যালঘু সুমন রায়। সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।