কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের নাওয়ান গ্রামের এক হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্রয়কৃত জমি চেয়ে বেশি জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আছে বলে এক ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবার অভিযোগ তুলেছে। বুধবার সকালে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে দখলকৃত জমি ফিরে পেতে নাওয়ান এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ সভা করেন।
বক্তারপুর ইউনিয়নের নাওয়ান গ্রামের মৃত শশী মোহন পাল ২৪ শতাংশ জমি স্থানীয় প্রভাবশালী মনির চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে। যেই দাগের জমি শশী মোহন বিক্রি করেছে, সেই জমি না নিয়ে তারই পাশের জমি দখলে নেয় মনির চৌধুরী। পাশাপাশি শশী পালের অতিরিক্ত আরও ৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে ওই মনির চৌধুরী বলে শশী মোহনের ছেলেরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়া একই এলাকার সত্যরঞ্জন পাল ৫ গোণ্ডা জমি মনির চৌধুরীর নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়। সে এখনও মনির চৌধুরীর নিকট ১০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। তাকে ১০ হাজার টাকা দিচ্ছে না মনির। বুধবার তার কাছে সত্যরঞ্জন টাকা চাইতে গেলে তাকে গালমন্দ করে।
মৃত শশী মোহন পালের ছেলে চাঁন মোহন পাল, রামপদক ও শিবচরণ পাল বলেন, ২০-২২ বছর আগে তার বাবা ২৪ শতাংশ জমি স্থানীয় মনির চৌধুরীর নিকট বিক্রি করেন। এক স্থানের জমি বিক্রি করলেও মনির চৌধুরী সেই জমি না নিয়ে সামনের জমি দখলে নেয়। শুধু তাই নয়, তাদের আরও ৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করে আছেন প্রভাবশালী মনির চৌধুরী।
গত বুধবার সকালে মনির চৌধুরী এলাকায় গেলে ভুক্তভোগী পরিবার তার কাছে জমি ফেরত চায়। তখন মনির চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে তাদের গালমন্দ করতে থাকে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন নাওয়ান মোড়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ সভা করে। সভায় বক্তব্য রাখেন, বক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুর্শেদ কুলি খান, ইউপি সদস্য মো. মাহমুদুল রশিদ টুটুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ খান নাজুক, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি খালেদ খান ও আওয়ামী লীগ নেতা আপেল খান।
অভিযুক্ত মনির চৌধুরী বলেন, আমি কারও জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করছি না। চাঁন মোহন পালের বাবা শশী মোহন পালের কাছ থেকে ২৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। বেশি জমি ভোগদখলের প্রমাণ দিতে পারলে জমি ছেড়ে দিব। সত্যরঞ্জন আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না। তার টাকা তাকে দিয়েছি।