এরই নাম অনুব্রত মন্ডল। তাঁর নির্দেশে দলের কর্মী তো দূর, স্বয়ং ভুত এসে বুথে গিয়ে আজ্ঞা পালন করেছে অনুব্রত মন্ডলের। বিকাশ সাহা, মারা গিয়েছেন ভোটের দিন সাতেক আগে, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা হয়নি। ভোট গ্রহণ শেষ হবার পর দেখা গেল, সেই বিকাশ বাবু এসে দিব্যি ভোট দিয়ে গেছেন। বীরভূমের রামপুরহাটের ১১৫ নম্বর বুথে ভোটার তালিকায় নাম ছিল ৮৮৪ জনের। তারমধ্যে নাম ছিল প্রয়াত বিকাশ সাহার। দেখা গেল ওই বুথে ভোট দিয়েছেন মোট ৮৮৪ জন। আর এই তথ্য কানে যেতেই কপালে চোখ উঠেছে কমিশনের। ১৭ সি ফর্ম, যেখানে লেখা থাকে কত ভোট পড়লো, সেই ফর্ম এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে মোবাইলে মোবাইলে। বিজেপি,সিপিএম বলছে ছাপ্পা ভোটের কি মর্মান্তিক চেহারা।
সকাল থেকেই বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছিল, রামপুরহাটে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট চলছে। বুধবার ১৭সি ফর্ম প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে নিজেদের বক্তব্য নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীরা।এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলার নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদালা। বিজেপি নেতারা বলছেন, অবিলম্বে কমিশনের উচিত হস্তক্ষেপ করা। দলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গোটা বীরভূম জেলাতেই নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি তোলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, বীরভূমে ভোটের নামে দিনভর প্রহসন হয়েছে। অনুব্রত মন্ডল ক্যামেরার সামনে লাইভ দিনভর ছাপ্পা ভোটের অপারেশন চালিয়ে গেছেন। দুনিয়া সুদ্ধ লোক দেখেছে কিভাবে ভোট করাচ্ছেন তিনি। এরপর কমিশন যদি ব্যবস্থা না নেয় তবে মানুষের আস্থাই টলে যাবে।
এনিয়ে রসিকতাও হচ্ছে বিস্তর। অনেকে বলছেন, অনুব্রত বারবার বলছেন , দেখিস একশ শতাংশ ভোট যেন না হয়, তাহলে মুশকিল হবে। তার বাধ্য কর্মী বাহিনী, এই টুকু নির্দেশ রাখতে পারলো না? ফুট কেটে কেউ কেউ বলছেন , গুরুকে খুশি করার অতি উৎসাহে দু একটা ভুল হয়ে গেছে। কেউ বলছেন, অশিক্ষিত গুন্ডা মাস্তানদের ওপর ভরসা করতে হয় তো, ওরা আবার শতাংশের হিসেব টিসেব বোঝে কম। ছাপ্পা মারতে বলেছে, দেদার প্রানের সুখে মেরে দিয়েছে, কে যাবে অত গোনাগুনীর করার ঝামেলায়।