চীন (China ) সরকার তাদের দেশে উপস্থিত উইগর মুসলিমদের উপর জোরদার দমন শুরু করেছে। রমজান ( Ramzan / Ramadan )মাস আসতে না আসতেই চীন শিনজিয়াং প্রান্তে বসবাসকারী মুসলিমদের উপর ধার্মিক নিষেধাজ্ঞা লাগাতে শুরু করে দিয়েছে। সার্বজনীক সেবা আধিকারিক, ছাত্র, অল্পবয়স মুসলিমদের রোজা রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর জন্য চীন যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন যে তারা মুসলিমদের কট্টরপন্থা তথা মৌলবাদ থেকে দূরে রাখছে।
চীনের নাস্তিক সরকার বহু সময় থেকে মুসলিমদের রোজা না রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। বিশ্বের নানা সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি চীনের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। চীনে মুসলিম ছাড়াও বৌদ্ধ, হিন্দু ইত্যাদি সম্প্রদায় বসবাস করে। কিন্তু এই সম্প্রদায়ের উপর চীনের সরকার কোনো রকম দমন চালায় না বা ধার্মিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করে না। শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর চীন দমন নীতি প্রয়োগ করে। চীন উইগুর মুসলিমদের দেশের জন্য বড় বিপদ মনে করে যার জন্য তাদের ধার্মিক সতন্ত্রতাকে সীমিত রাখার চেষ্টা করে।
রমজান মাসকে লক্ষ রেখে চীন সরকার একটা নোটিস জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে রমজান মাসে অহেতুক যেন কেউ রোজা পালন না করে, অথবা মসজিদে প্রবেশ না করে। শিনজিয়াং প্রান্তে যাতে অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, পুলিশ প্রশাসন সেই দিকে লক্ষ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মসজিদ যারা প্রবেশ করবে তাদের যেন Id চেক করা হয় তার উপর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
তবে শুধু রমজান মাসের জন্যেই নয়, এর আগেও চীন মুসলিমদের উপর অত্যাচারের জন্য খবরের শিরোনামে এসেছে। খবর অনুযায়ী, চীন মুসলিমদের জন্য পশ্চিম প্রান্তে এক বিশেষ ক্যাম্পের ব্যাবস্থা করেছে। সেখানে মুসলিমদের ইসলাম ত্যাগের জন্য জোর করা হয়। ওই ক্যাম্পগুলিতে ইসলামকে মানসিক রোগ বলে ধরা হয়। জোর করে মুসলিমদের আস্থার উপরে আঘাত হানা হয়।