বিখ্যাত আইনজীবী এবং বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার রায়কে জেলের মধ্যেই পুড়িয়ে মেরে ফেলা হলো। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা কারাগারে এই ঘটনা ঘটেছে। জেলের টয়লেটের কাছে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কারা এই কাজ করলো? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। কারারক্ষীরা পলাশকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে আনলে পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এবং সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হিন্দু মহাজোট এবং অন্যান্য অন্যান্য হিন্দু সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, হিন্দুদের ওপর নিষ্ঠুরতা প্রতিদিন বেড়ে চলছে বাংলাদেশে। জেলখানা একটা নিরাপদ স্থান, সেখানে কাউকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এমন ঘটনা দুনিয়াতে বিরল। এমনকি এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এটে বসে আছে সরকার। সৌজন্য দেখাতেও কেউ দুঃখ প্রকাশ করেনি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করাতে এক মন্ত্রী দায়সারা ভাবে “দেখছি” বলেই স্থান ত্যাগ করেছেন। অথচ যাকে খুন করা হলো তিনি একজন মুক্তি যোদ্ধার সন্তান। একজন সৎ মানুষ। চিরকাল অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন । এমনকি তার কর্মজীবনের শুরুতে এক বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি
করার সময়, কোম্পানির গোপন অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন, সেই অন্যায়কে প্রকাশ্যেও এনেছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাকে অপহরণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার পলাশ রায়ের নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছিল হিন্দু মহাজোট। তার নেতৃত্বেই হিন্দুদের রক্ষায় লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল মহাজোট। হিন্দু মহাজোটের আহব্বায়ক এ্যাড. গোবিন্দ পরামানিক বলেন দেশে সংখ্যালঘু নিধন চলছে অত্যাচারের মাত্র্রা দিনাদিন বেড়েই চলেছে জেলখানারমত নিরাপদস্থানে হত্যা ইতিহাসে বিরল তাহলে বুঝুন আইন শৃংখলা কতটা অবনতি এদেশে পলাশ হত্যার সঠিক তদন্ত করে বিচার না হওয়া পযন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ এ আরো বক্তব্যা রাখেন সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃীবৃন্দু । গৌতম হালদার প্রান্ত মুঠোফোনে বলেন দেশে ধারাবাহিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, হামলা, বাড়ি ঘর মন্দিরের জায়গা দখল, মা বোনদের ধর্ষণ, অপহরণ ও গুম খুনের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে ।