মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তাৎকালীন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ মে) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মো. সোহেল রানা জানান, পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত টিমের প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২ মে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পুলিশের আইজিপির কাছে জমা দেয় পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট শাখা।
এদিকে ঘটনার ৩৩ দিন পর বুধবার রাতে নুসরাতের শরীরের আগুন দেওয়ার সময় ব্যবহৃত কেরোসিনের গ্লাস উদ্ধার করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি তদন্তে গঠিত কমিটি ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, এসআই ইকবাল ও এসআই ইউসুফের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে।
সুপারিশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিটই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে তিনি বলেন, ফেনীর পুলিশ সুপারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা রাফির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাফি মারা যান।