হাটহাজারীতে ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের মদিনা একাডেমি নামের নূরাণী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম বাঁশখালী উপজেলার বইলগাঁও মল্লার পাড়া
এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার ছাত্রের বাবা
বাদী হয়ে বুধবার হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
ওই ছাত্রের বাবা সমকালকে বলেন, আমার ছেলে গত চারমাস ধরে মদিনা একাডেমির
হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করছে। হেফজখানার পাশেই হুজুরের শয়নকক্ষ রয়েছে। বুধবার
রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার ছেলেকে হুজুর তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে
দরজা বন্ধ করে তাকে মুখ চেপে ধরে বলাৎকার করে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে
হুজুর তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিও প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে আমার সন্তান
হুজুরের কক্ষ থেকে বেরিয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে চলে আসে। এরপর ওই হুজুর
পালিয়ে যাওয়ার সময় রাত ২টার দিকে তাকে স্থানীয়রা আটকে পুলিশে সোপর্দ করা
হয়। আমি ওই হুজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
হাটহাজারী মডেল থানার এসআই আবুল বাশার জানান, উত্তেজিত জনতা কাছ থেকে হুজুর
তৌহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তিনি প্রাথমিকভাবে ঘটনার দায়
স্বীকার করেছেন।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান জানান, ছোট্ট
বাচ্চাটির মুখে ঘটনাটি শুনে হতবাক হয়েছি। তাই ন্যায় বিচারের জন্য আমরা
হুজুরকে আইনের হাতে তুলে দিয়েছি।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর সমকালকে বলেন, এ ঘটনায়
মামলা রুজু হয়েছে। আসামিকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে। ডাক্তারি
পরীক্ষা সম্পন্নের পর শিশুটিকে জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানোর
প্রস্তুতি চলছে।
সূত্রঃ সমকাল