রমজান মাস ঢুকে গেলেও চীনে মুসলিমদের উপর হওয়া অত্যাচার থামার নাম নিচ্ছে না। ইসলামের পবিত্র মাসে টাকলামাকান এলাকায় হাজার হাজার সংখ্যায় মুসলিমরা আসতো। এর কারণ এখানে বিশেষ কিছু মসজিদ ছিল যা ৮ শতাব্দীর এক মুসলিমকে যোদ্ধাকে স্মরণ করে তৈরি করা হয়েছিল। রমজান মাস ঢুকলেই ওই স্থানে হাজার হাজার মুসলিম পৌঁছে যেত নামাজ পড়ার জন্য। কিন্তু এই বছর ওই এলাকা সম্পূর্ণ খালি হয়ে আছে। এর কারণ চীন ওই স্থানের মসজিদগুলোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ইমাম আসীন দরগার গুম্বড ছাড়া বাকি অংশ মাটিতে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা ইসলামিক পতাকা ও চাদরও এখন নেই।
২০১৬ থেকে এখনও পর্যন্ত শিনজিয়াং প্রান্তে ২৫ এর বেশি বড় মসজিদকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিছু এজেন্সি চীনের গতিবিধির উপর লাগাতার নজর রেখেছিল। দি গার্ডেইন সহ বেশকিছু এজেন্সি চীনের ১০০ মসজিদকে ট্র্যাক করছিল। এরপর যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তা চমকে দেওয়ার মতো। ৩১ টি মসজিদকে নানা অজুহাতে ক্ষতি করা হয়েছে ১৫ টি বড় মসজিদকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে সেটাও আবার ৩ বছরের মধ্যে।
রিপোর্টে সামনে এসেছে, চীন বেছে বেছে সেইসব মসজিদকে টার্গেট করেছে যেখানে উইগুর মুসলিমরা বেশি সংখ্যায় এসে নামাজ পড়ত। চীনের মরুভূমি অঞ্চলে জাফির সদেব নামক এক ব্যাক্তির নামে মসজিদ ছিল। বলা হয় জাফির নামক ব্যাক্তি এখানে এসে ইসলামের বিস্তার করেছিলেন। এখানে মুসলিমরা ৭০ কিমি পথযাত্রা করে আসতেন। কিন্তু এখানে মসজিদকেউ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এজেন্সিগুলি ৩ বছর চীনের স্যাটেলাইট ছবির উপরেও নজর রেখেছিল । সেখান থেকে স্পষ্ট রিপোর্ট সামনে এসেছে যে বড় মসজিদগুলোকে ভাঙার জন্য চীন কোনো সুযোগ ছাড়েনি। সূত্র জি নিউজ