গত কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শনিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল এবং জামুর্কী সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তীব্র গরমে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. স্বর্ণা ও ডা. ইফতেখার হোসেন বলেন, গত ১০-১২ দিন ধরে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রখর রোদে তীব্র গরম পড়েছে। গরমের কারণে বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, ঠাণ্ডা, জ্বর ও সর্দিসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু বিভাগে সাধারণ ১৫০-২০০শ রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও গত কয়েক দিন ধরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২৫০-৩০০শ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীর অভিভাবকদের গরমের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে এই দুই চিকিৎসক জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের বড় চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র কুমুদিনী হাসপাতালে বিভিন্ন সময় প্রতিদিন গড়ে ৯শ- ১১শ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে গরমে গড়ে প্রতিদিন ১৬শ-১৮শ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। যারা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভর্তিকৃত রোগীদের জায়গা না হওয়ায় চিকিৎসা সেবা চলছে হাসপাতালের বারান্দায়। একই অবস্থা জামুর্কি সরকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মির্জাপুর বংশাই জেনারেল হাসপাতাল (প্রাইভেট), মর্ডান হাসপাতাল (প্রাইভেট), বিকাশ হাসপাতাল (প্রাইভেট), মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতাল (প্রাইভেট), যমুনা জেনারেল হাসপাতাল (প্রাইভেট), আল মদিনা হাসপাতালসহ প্রতিটি হাসপাতালের।
এদিকে গরমে হার্ট এটাকে আগধল্যা গ্রামের দেওয়ান সানাউল্লাহ ও বেগম দুল্লা গ্রামের সাইদুর সিকদার শুক্রবার মারা গেছেন। বিদ্যুতের লোড শেডিং এবং অপর দিকে তীব্র গরম হওয়ায় জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।