বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার
মাধবপাশার দুর্গাসাগর দীঘি পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল
(অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি। আজ রবিবার (১২ মে ) দুপুর ২ টায় প্রতিমন্ত্রী
দুর্গাসাগর দীঘির চারপাশ ঘুরে দেখেন পাশাপাশি দুর্গাসাগর দীঘিকে পর্যটনের
একটি বড় স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে দুর্গাসাগরকে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন
স্থাপনা নির্মাণ করার আশ্বাস দেন।
এ সময় তিনি পাখিদের অভয়াশ্রম
হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দূর্গা সাগরের বিভিন্ন গাছে হাড়ি বেধে পাখির
অভয়ারন্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ কাজের শুভ সূচনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদারসহ আরো অনেকে।
এস. এম. অজিয়র রহমান জেলা প্রশাসক হিসেবে
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দূর্গাসাগরকে নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন চিঠিপত্র পাঠিয়েছেন। তিনি
দীঘীর উন্নয়ন এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে
নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক এস. এম. অজিয়র রহমান
জানিয়েছেন- চলতি মাসে দুর্গা সাগর’ উন্নয়নে একটি বড় প্রকল্প আসার কথা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুর্গা সাগরকে একটি পর্যটনের একটি বড় স্পট তৈরি
করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য- বরিশাল শহর থেকে প্রায়
১২ কিলোমিটার উত্তরে দুর্গা সাগরের অবস্থান। শুধু জলাভূমির আকার ২৭ একর।
পার্শবর্তী পাড় ও জমি সহ মোট আয়তন ৪৫.৪২ একর। ১৭৮০ সালে চন্দ্রদ্বীপের
পঞ্চদশ রাজা শিব নারায়ন এই বিশাল জলাধারটি খনন করেন। তার স্ত্রী
দুর্গামতির নামানুসারে এর নাম করন করা হয় দুর্গাসাগর। ১৯৭৪ সালে তৎকালিন
সরকারের উদ্যোগে দিঘীটি পুনরায় সংস্কার করা হয়। বর্তমানে “দুর্গাসাগর
দিঘীর উন্নয়ন ও পাখির অভয়ারন্য” নামে একটি প্রকল্পের অধিনে বরিশাল জেলা
প্রশাসন দিঘীটির তত্ত্বাবধান করছে। সম্পূর্ণ দিঘীটি উঁচু সীমানা প্রাচীর
দিয়ে ঘেড়া। এই দুই দিকে প্রবেশের জন্য দুইটি গেট আছে। দিঘীর মাঝখানে
জঙ্গলপূর্ণ একটি ছোট দ্বীপ আছে। শীতকালে এখানে অতিথি পাখির সমাগম হয়।
চৈত্রমাসের অষ্টমী তিথীতে হিন্দু ধর্মালম্বীরা এখানে পবিত্র স্নানের
উদ্দেশ্যে সমবেত হন।