যুবলীগ কর্তৃক কুমিল্লার দেবীদ্বারে মরদেহ শশ্মানে দিতে বাধা দানের অভিযোগ উটেছে।
কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর এলাকার হামলাবাড়ি গ্রামের গোমতী নদীর ভেরী বাঁধ সংলগ্ন শতবছরের পুরনো হিন্দু সম্প্রদায়ের পৈত্রিক শ্মশানে যতিন্দ্র মোহন রায়ের মরদেহ দাহ করতে যায় পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় যুবলীগ ওয়ার্ড সভাপতি আবুল বাশারে’র নেতৃত্বে বিল্লাল, আক্তার, রবিউল সহ ৮/১০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল মরদেহ দাহ করতে বাধাপ্রদান করেন। তারা বলেন, রোজার দিনে মরদেহের পোড়াগন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দুষিত হবে এবং রোজাদার ব্যক্তিগনও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাই মরদেহ দাহ না করে কবরস্থ করার জন্য চাপ দেয়।
ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শোকার্ত পরিবারের যতিন্দ্র মোহন রায়ের পুত্র নারায়ন চন্দ্র রায়, গোপাল চন্দ্র রায় ও অবিনাশ চন্দ্র রায়কে বেধরক মারধর করে লাঞ্ছিত করেন।
এ ব্যাপারে যতিন্দ্র মোহন রায়ে’র পুত্র নারায়ন চন্দ্র রায় বলেন, হামলাবাড়ি গ্রামে বর্তমানে আমাদের ১৯টি পরিবারের প্রায় শতাধিক লোক বসবাস করি। শত বছরের পুরনো শ্মশানে অতীতের ন্যায় আমার পিতাকে দাহ করতে গেলে আবুল বাশার, বিল্লাল, আক্তার, রবিউল সহ ৮/১০ এসে বাঁধা দেয়। ওরা বলেন দাহ করা যাবেনা, মাটি দিতে হবে। অতীতেও মরদেহ দাহ করতে চাইলে এরকম আচরনই করেছে। কেউ কেউ ভয়ে দাহ না করে কবর দিয়েছে। ওরা বলে আমাদের এদেশ থেকে চলে যেতে।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল আনোয়ার ও উপ-পরিদর্শক(এসআই) গোলাম কিবরিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালাই, অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারিনাই।একদল তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মরদেহ শ্মশানে দাহ করতে যায় অপর পক্ষ লাশ পোড়া গন্ধে রোজাদারদের ক্ষতি হবে তাই লাশ না পুড়িয়ে কবর দিতে বলে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতা হাতি, মারধর হয়। তবে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা করব।