মাগুরায় গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণের ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে ধরে স্থানীয়রা পুলিশে দিলেও থানা পুলিশ তাদের পুরনো চুরির মামলায় জেলে পাঠাল। এলাকাবাসী বলছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার চরশ্রীপুরের এক গৃহবধূ আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বরিশাট গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মাজেদা ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছলে ওই গ্রামের সাজ্জাদ মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম গৃহবধূর পিছু নেয়। সাজ্জাদের মতিগতি বুঝতে পেরে গ্রামের একটি বাড়ির উঠোনে গিয়ে আছড়ে পড়েন। ওই সময় এক মহিলা ঘর থেকে বের হয়ে এলে ছেলেটি পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ওই নারী বাড়ি থেকে বের হলে লম্পট রবিউল সহযোগী আজিজ বিশ্বাসের ছেলে আনিছকে নিয়ে গৃহবধূকে ধরে নদীসংলগ্ন শ্মশান ঘাটে নিয়ে যায়। ওই গৃহবধূর এক আত্মীয় বলেন, প্রথমেই তারা মেয়েটিকে ছুরি দেখিয়ে তার সোনার চেন এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে মুখ বেঁধে শ্মশান ঘাটসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে একজন শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। অপর যুবক সেই দৃশ্য ভিডিও করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে লম্পট দুই যুবক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুতাসিম বিল্লাহ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয়দের নিয়ে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। তবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা না দিয়ে নাটক সাজায়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই নারীকে পতিতা সাজাতে উঠেপড়ে লাগে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধর্ষণের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে শুনেছি ওই মহিলার চরিত্র খারাপ। এটি একটি মিউচুয়াল কনটাক্টের (পারস্পরিক সম্মতিতে) ঘটনা। কোন কিছুর বিনিময়ে সে ওই দুই ছেলের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল। যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে দুটিকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাই আটকে রাখার জন্য তাদের নাকোল বাজারে সিগারেট চুরির একটি মামলায় ঢুকিয়ে চালান করে দেয়া হয়েছে।