ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আনন্দ চন্দ বণিক
(৩৮) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল
সাড়ে দশটায় উপজেলার পুরাতন বান্দুরা বাজারের স্বর্ণকার পট্টি সংলগ্ন ইছামতি
নদীর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আনন্দ বণিক নতুন বান্দুরা গ্রামের
মৃত শম্ভুনাথ বণিকের ছেলে।
নিহতের
বড় ভাই গোবিন্দ বণিক জানান, পুরাতন বান্দুরা বাজারে মসজিদ সংলগ্ন আনন্দের
‘প্রার্থনা মথুরা অলংকার’ নামে একটি দোকান রয়েছে। বুধবার রাত নয়টার দিকে সে
দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার উদ্দ্যেশে বের হয়। সোয়া নয়টার দিকে বাসা থেকে
আনন্দের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তার খোঁজ
পাওয়া যাচ্ছিল না। সারারাত বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করেন পরিবারের লোকজন।
সকালে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা স্বর্ণকার পট্টির একটি দোকানের পিছনে
ইছামতি নদীর পাড়ে মরদেহ দেখতে পরিবারকে খবর দেন। পরে সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার
করে থানা পুলিশ।
গোবিন্দ বণিক আরও
বলেন, আমার ভাই সব সময় বাসায় যাওয়ার সময় একটা ব্যাগ নিয়ে যেত। ব্যাগে
স্বর্ণালংকার থাকতো। ওগুলো লুট করার জন্যই দুর্বৃত্তরা আমার ভাইকে হত্যা
করেছে।
নিহতের ছেলে কৃষ্ণ বণিক বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবত সে স্বর্ণের কাজ করেন। তার কোন শত্রু আছে বলে আমাদের জানা নেই।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনা জানান পর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করি এবং মরদেহটি উদ্ধার করি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।