আজ সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। দেশের পাশাপাশি বাংলার ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা। যেগুলি বেশিরভাগই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই হেভিওয়েট। কারণ শেষ দফা নির্বাচনে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী মিমি, নুসরত সহ একাধিক প্রার্থী। শুধু তাই নয়, ৯টি কেন্দ্রের অধিকাংশই কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এমনকি এই দফায় বেশকিছু বুথ রয়েছে যেগুলি মুসলিম অধ্যুষিত। ফলে গোটা রাজ্যের নজর রয়েছে এই কেন্দ্রগুলির উপর। এরই মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুকুল রায়।
সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফায় ভোটের আগে আজ শনিবার হাওড়ায় সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় দাবি করেন, সারা বাংলায় ইতিমধ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যেখানে হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম আছে সেই গ্রাম থেকে ভোটারদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। শুধু আই কার্ড কেড়ে নেওয়াই নয়, গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে বা বাধ্য করা হচ্ছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তাঁর।
মুকুলের রায়ের আরও দাবি, পরাজয়ের ভয়ে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উনি আর মানুষের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই প্রত্যেকটা কেন্দ্রে হাজার হাজার বাইরের লোক এনে ঢোকাচ্ছেন বলে অভিযোগ এই বিজেপি নেতার। বাইরে থেকে এত লোক এসেছে যে রিসর্ট, বিয়ে বাড়ি, হোটেল একটাও খালি নেই বলে দাবি তাঁর।
শুধু তাই নয়, আরও একবার বিজেপির আধিকারিকদের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুকুল রায়। ইতিমধ্যে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে জানান মুকুল রায়। তবে তিনি মনে করেন, ভোটের দিন এলাকায় এরিয়া ডমিনেশন করতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে যাতে ভোট দিতে পারে সাধারণ মানুষ। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে এই আতঙ্কের পরিবেশ মুছে ফেলতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মুকুলবাবু। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি আনতে হলে বিজেপিকে ভোট দিলেই গণতন্ত্র ফিরে আসবে ফের বাংলায়।
বিজেপিকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি আরও একবার মমতাকে আক্রমণ করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে প্রচারে বলতে শুরু করেছেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবেন। আর এরপরেই আমাদের এক বিজেপির কার্যকর্তা খুন হয়েছেন। বাংলার মানুষ এমন অবস্থা মেনে নেবে না বলে মনে করেন মমতার একদা এই সহযোদ্ধা।