শ্রীপুরের বরিশাটে সংখ্যালঘু গৃহবধূর শ্লীলতাহানির পর মেবাইলে ভিডিও । আটক ২
রিপোর্টার নাম
-
আপডেট টাইমঃ
সোমবার, মে ২০, ২০১৯,
-
238 সংবাদটি পঠিক হয়েছে
ভোর
বেলা নির্জন রাস্তা দিয়ে দিয়ে একা হেটে যাচ্ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের
উনিশ বছর বয়সী এক গৃহবধু। এ সময় দুই বখাটে যুবক তার পিছু নেয়। মুখ চেপে
ধরে জোর পূর্বক বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আনিচুর রহমান (৩২) । এ ঘটনা
মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারন করে তার সহযোগি বখাটে রবিউল(২৭)। এক পর্যায়ে
আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার ভোরে
শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ধামা-চাপা দেওয়ার জন্য
শুরু হয় অনেক নাটক। দিনভর নানা নাটকিয়তার পরে অবশেষে ঘটনাটি আলোয় আসে। আর
সে কারণেই সকালের ঘটনা প্রকাশ হতে হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়।
ধর্ষক আনিচুর ও সহযোগী রবিউল বর্তমানে শ্রীপুর থানা হাজতে রয়েছে। তদের
দুজনের বাড়িই বরিশাট গ্রামে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় মামলা
দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে শ্রীপুর থানার ওসি জানিয়েছেন।
ঘটনার শিকার
গৃহবধু জানান, স্বামীর সাথে মনমালিন্য হওয়ায় তিনি রাগ করে সোমবার সন্ধ্যার
পরে শ্বশুরবাড়ি শ্রীপুর উপজেলার চর-শ্রীপুর গ্রাম থেকে পাশের হরিন্দি
গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর ভোরবেলায় সেখান থেকে সে মাগুরা যাওয়ার
উদ্দেশ্যে হেটে বরিশাট গ্রামের পেট্রোল পাম্পের কাছাকাছি পৌছালে দুই যুবক
তার পিছু নেয়। তারা তার বাড়ি ও নাম জিজ্ঞাসা করে। মেয়েটি কোন উত্তর না দিলে
বখাটে ওই যুবকরা তার মুখ চেপে জোর করে বরিশাট গ্রামের শ্মশানের পাশে একটি
বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে বখাটেরা তার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও
কানের দুল খুলে নেয়। এরপর বখাটেরা ধস্তাধস্তি করে তাকে মাটিয়ে শুইয়ে ফেলে।
তখন একজন তাকে ধর্ষণ করে এবং অন্যজন মোবাইলে ধর্ষনের ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
গৃহবধুটির
সন্ধানে তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন রাতেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে শুরু করে।
গৃহবধুর কাকা শ্বশুর বলেন, খোঁজ করতে করতে সকাল পৌনে ছয়টারদিকে বরিশাট
গ্রামে গিয়ে তিনি জানতে পারেন এক মহিলাকে দুই যুবক বরিশাট শ্মশানের দিকে
নিয়ে গেছে। এ সময় তিনি শ্মশানের দিকে এগিয়ে গেলে একটি বাগানের ভেতর থেকে এক
যুবক তাকে দেখে তেড়ে এসে চাকু মারতে গেলে তিনি চিৎকার করেন। এ সময়
আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ধর্ষনের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে। গ্রামের লোকজন
দুই বখাটেকে ধরে মঙ্গলবার সকালেই শ্রীপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ভিকটিমের ওই আত্মীয় গৃহবধূকে শ্রীকোল গ্রাম থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি
বলেন, মেয়েটিকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার গায়ে কাাঁদা লেগে ছিল এবং
কাপড়চোপড় ঠিক ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট
একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, বখাটে দুই যুবককে বাচাঁতে বরিশাট গ্রামের
আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য দিনভর
চেষ্টা করেন।
শ্রীপুর থানার ওসি মো: মহাবুবুর রহমান বিকেলে ধর্ষণের
শিকার গৃহবধুটির শ্বশুড়বাড়ি গিয়ে ভিকটিমের কাছে ঘটনা শুনে তার শ্বশুড়বাড়ির
লোকজনসহ তাকে থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওসি মো: মাহাবুবুর
রহমান বলেন, আনিচুর ধর্ষণ করে এবং রবিউল তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ।
আনিচ বরিশাট গ্রামের আজিজ রহমানের ছেলে এবং রবিউল একই গ্রামের সাজ্জাদ
হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করুন...
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...