ইরানের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি ও মনোবল নিয়ে সৌদি আরব যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবাইর। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার দুই তেল স্থাপনায় হুতি ড্রোন হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব। এরপরই যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানালেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
এই নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যেে উত্তজেনা আরও বেড়েছে। একদিকে ইরান এবং আরেকদিকে সৌদি আরব ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে ইরানের হুমকি মোকাবেলায় মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিংকন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে সৌদি তেলবাহী জাহাজে হামলা হয়েছে। এর দুদিন পর হামলা হয়েছে দেশটির আরও দুটি তেল স্থাপনায়। সৌদি আরব এর জন্য দোষ দিচ্ছে ইরানের ওপরেই। এ নিয়ে চলছে যুদ্ধের দামামা।
সংবাদ সম্মেলনে জুবাইর বলেন, আমরা এ অঞ্চলে যুদ্ধ চাইনা কিন্তু নিজ স্বার্থ রক্ষায় সমগ্র শক্তি ও মনোবল দিয়ে লড়বে সৌদি আরব। তবে ইরানের ওপর সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটি। ইরানের দাবি তাদের বিরুদ্ধে দায় চাপাতে কাজ করছে এক অশুভ শক্তি। দেশটির নেতারা বারবার বলছেন, ইরান কোনো যুদ্ধ চায় না।
সৌদি মন্ত্রী সরাসরি ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসীরা উদ্দেশ্যমুলকভাবে সৌদি স্বার্থে আঘাতের চেষ্টা করছে। সৌদি আরব আশা করে বিপদ এড়াতে ইরানের সরকার তাদের শুভবুদ্ধি প্রয়োগ করবে এবং তাদের অনুচরদের হঠকারী কর্মকা- থেকে বিরত রাখবে। তা না হলে যে পরিণতি হবে তার জন্য পরে ইরানকে অনুশোচনা করতে হবে।
এদিকে যুদ্ধের দামামার মধ্যেই সৌদি বাদশাহ সালমান ৩০শে মে মক্কায় এক জরুরী বৈঠকে বসার জন্য আরব লীগ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট জিসিসি সদস্যদের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমুদ্র সীমায় সৌদি জাহাজে হামলা এবং সৌদি আরবের মধ্যে দুটো তেল ক্ষেত্রে হুতি সন্ত্রাসীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। এসপিএ আরো জানিয়েছে শনিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে সৌদি যুবরাজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহামেদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন।