এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হল। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি থানার কাদিরগঞ্জ গ্রামে। স্থানীয় এক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল মৃতা কিশোরী। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আদিবাসী কিশোরী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। করণদিঘি থানায় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা ও মা শুক্রবার সন্ধ্যায় নিকটবর্তী একটি এলাকায় রাসযাত্রার অনুষ্ঠান দেখতে যান। বাড়িতে তাঁদের চার মেয়ে ছিল। বাড়ির বারান্দায় শুয়ে ছিল বড় মেয়ে। অভিযোগ, রাতের বেলা দুষ্কৃতীরা মুখ চাপা দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পাশেই একটি লিচুবাগানে তাকে ধর্ষণ করে তারা। তার পর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এর পর তার মৃতদেহটি সেখান থেকে তুলে বাড়িতে যেখানে সে শুয়েছিল সেখানেই রেখে যায়।
গভীর রাতে ওই কিশোরীর বাবা-মা ফিরে এসে মেয়েকে দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে করেছিলেন সে ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু তাকে ডাকার পরেও সাড়া না পাওয়ায় তাঁরা মেয়ের কাছে যেতেই দেখেন মেয়ের নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে! এর পরই তাঁরা বুঝতে পারেন সর্বনাশ ঘটে গেছে।
ওই কিশোরীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার সারা শরীরে কাদা ও ঘাস লেগে রয়েছে। এর পরই লিচু বাগানে ধস্তাধস্তির চিহ্ন আবিষ্কার করেন স্থানীয় জনতা। তখনই সন্দেহ প্রবল হয়, কী ঘটে গেছে রাতের অন্ধকারে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও ধারণা বাড়ি থেকে তুলে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
জেলাশাসক আয়েষারানি জানিয়েছেন, “এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যাতে গণ্ডগোল শুরু না হয়, সেই কারণে পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।’’
আদিবাসী সমন্বয় কমিটির জেলা সম্পাদক স্যামুয়েল মার্ডি জানিয়েছেন, “আমরা পুলিশকে ৭২ ঘন্টা সময় দিয়েছি দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য। দোষীরা গ্রেফতার না হলে আমরা জেলা অচল করে দেব।’’