ফরিদপুর শহরের পূর্বখাবাসপুর তালতলা এলাকার বনিক পল্লীতে হামলার শিকার হয়েছে ৩ নারীসহ ও এক অবুঝ শিশু মোট আহত ৫ ।আক্রান্ত শিশু দীপ দত্ত (৬) এর অবস্থা সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
গতকাল রাত আটার দিকে একই এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী হটাত চোর চোর বলে একই এলাকার সুজন(১৯) নামক এক যুবকে মারধর করতে করতে বনিক বাড়ি পল্লীর দিকে নিয়ে আসে। হট্টগোল শুনে চান দত্ত(৩৭) এর পরিবার সহ বেশ কিছু নারী ও শিশু এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতিকারীরা এদের উপর হামলা চালায়। এতে চান দত্তের শিশু সন্তান দীপ দত্ত (৬),তার স্ত্রী আলো দত্ত (২৮) এবং মানিক বনিক (৪২) এর স্ত্রী শিখা বনিক(৩৮) আহত হয়েছে।এছাড়া একই পল্লীর কানাই বনিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে ঐ একই দুষ্কৃতিকারীরা।
আক্রান্ত শিশু দীপ দত্ত চোখে মারাত্মক জখমসহ জহুরুল হক চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।গত রাতে তার বাম চোখে অস্ত্রপচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অস্ত্রোপচারকারি চক্ষু সার্জন ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী জানান, বাচ্চাটি আমাদের কাছে আসার সাথেই আমরা ওর বাম চোখের অস্ত্রোপচার করি।চোখটিতে ধারাল কোন কিছুর আঘাত লেগেছে বলে মনে হচ্ছে। যেহেতু আঘাতটি গুরুতর তাই এখনি দৃষ্টি ফিরে পাবার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
আক্রান্ত আলো দত্ত জানান, আমরা রাতের খাবার খাওয়ার আগে হটাত চেচামেচি শুনে ঘরের বাইরে আসা মাত্র অতরকিত ভাবে আমরাসহ এখানকার সকলের উপরে ২০-২৫ জনের একটি দল ঝাপিয়ে পড়ে। সকলে প্রাণপণে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেও আমরা সামনে থাকায় আক্রান্ত হই। আমার ছেলেটাও ওদের হাত থেকে নিস্তার পাইনি ।ওরা আমার বাচ্চাটার চোখে ধারাল কিছুদিয়ে আঘাত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার নাজমুল হাসান জানান, তালতলা এলাকার তূর্য, পথিক, আমিন, বাশারসহ ২০-২৫ জন বখাটে ছেলে সংঘবদ্ধভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।এরা প্রায়শই এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজও করে থাকে।
এব্যাপারে কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার মো বেলাল জানান, শনিবার রাতে খবর পাওয়ার সাথেই এস আই সামিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।যদিও লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি তারপর ও আমরা বিষয়টি দেখছি।