আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যকে সরকারের বিদায়পথ দেখানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ শুক্রবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আজকে কেউ কেউ বলেন, বিদেশী কূটনীতিকরা কখনো কখনো আমাদের সাথে কথা বলার সময় একটি কথা বলেন যে, একটা কমফোরটেবল এক্সিট ফর প্রেজেন্ট গর্ভমেন্ট অর্থাৎ শেখ হাসিনার কনফোরটেবল এক্সিট, একটা আরামদায়ক নির্ভরযোগ্য দরজা খোলা যেটা দিয়ে তিনি যেতে পারেন। এর উত্তর বৃহস্পতিবার আদালতে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এর একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। উনি বলেছেন যে, আমি শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার জন্য মুক্তির পথ বেগম খালেদা জিয়া অলরেডি বলে দিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের জিয়াউর রহমানের ভুমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় ফারহানা জাহান নিপার সভাপতিত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি’ এটা মানে কোনো কনসেশনের জন্য তিনি বলেননি। কারণ আমরা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করছি, সেই গণতন্ত্র যদি উদ্ধার করতে পারি সেটাই তো বড় রেভেঞ্জ। সেই অনুভুতি থেকেই বেগম জিয়া এই কথা বলেছেন যে আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমি কারো সাথে অশোভন আচরণ করবো না। পারটিকুলারলি শেখ হাসিনার নাম ধরে বলেছেন। কেনো বলেছেন? শেখ হাসিনার একটা ভয় কাজ করছে। বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছেন, উচ্ছেদ করেছেন, নানাভাবে হয়রানি করেছেন। তাছাড়া দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে নির্যাতন-জেল-জুলুম, হত্যা-গুম-খুন অর্থাৎ তার অপকর্মের বোঝা এতো বেশি হয়ে গেছে যে ওই বোঝা নিয়ে ভবিষ্যতে চলার পথটা তিনি আরামদায়ক মনে করছেন না। একটা ভয় তার কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি তার কথাটা অনুসরণ করেন, তার কথাটা বিশ্বাস করেন। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র চর্চা ও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও ৭ নভেম্বর বিপ্লবের চেতনা সুসংহত করি দেশ ও জাতির জন্য, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য।