ফেসবুকের স্ট্যাটাসে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে রংপুরের তারাগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফখরুল এ উদ্বেগের কথা জানান। এ ঘটনায় ধর্ম অবমাননা ও হামলায় যারা জড়িত, তাদের বিচার দাবি করেছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম নিয়ে কোনো হানাহানিতে বিশ্বাসী নয়। যুগ যুগ ধরে এদেশে সকল ধর্মের মানুষ কোনো ধরনের বিভেদ ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলা হলেও এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের মাত্রা সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও দেবালয়ে অগ্নিসংযোগ, সম্পত্তি দখল ইত্যাদির হিড়িক চলছে। তবে গতকাল রংপুরের ঘটনা কোনো অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনা একটি অশনিসংকেত। এ দেশের জনগণ এখন ভয়ংকর দুঃসময়ের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। ভয়াল পরিবেশের কারণে এদেশে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে পারেনি এবং তাদের নিরাপত্তাও দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
বিএনপির নেতা আরো বলেন, ‘এ দেশের সকল সম্প্রদায়কে যেকোনো উসকানির মুখে বিভ্রান্ত না হয়ে সাম্প্রদায়িক ঐক্য বিনষ্টকারী দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যারা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম হামলা চালাচ্ছে তারা মানবজাতির শত্রু। আমি গতকাল রংপুরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে উসকানি দেওয়া এবং দুষ্কৃতকারীদের হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি।’
সেই সঙ্গে কটূক্তিকারীকে গ্রেপ্তার করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান মির্জা ফখরুল। পাশাপাশি হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তি দাবি করেন তিনি।