শিবালয় শীলপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বুধবার আয়োজিত বৈঠকে প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে হিন্দু নেতা মনোরঞ্জন শীল নকুল লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ৩০ অক্টোবর শেষ রাতে উক্ত মন্দির ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বিশেষ করে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে শিবালয় ইউএনও কামাল মোহাম্মদ রাশেদ উক্ত নালিশী ভূমি মালিক দাবিদার ও মন্দির কমিটির লোকজনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে বৈঠকে বসেন। এ সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিকাশ সাহা, সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুস, মনোরঞ্জন শীল নকুল, সুভাষ মজুমদার ও পূজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি সুদীপ ঘোষ বাসুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ক্রয়সূত্রে ভূমি মালিক আব্দুর রহিম খান ও মনোরঞ্জন শীল নকুলের সাথে এ সময়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
মনোরঞ্জন শীল জানান, কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে রহিম খানের ভাগ্নে স্থানীয় মডেল ইউপি চেয়ারম্যান আলাল ও সহযোগীরা আমার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে।
মন্দির কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রমথ চন্দ্র শীল সূর্য জানান, মন্দির ভাঙচুর ঘটনার পর নালিশী ভূমি নিয়ে রহিম খাঁ ও অন্যরা তিনটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। বুধবার বৈঠকে নকুলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার আকস্মিকতায় ইউএনও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলে গেছেন। উল্লেখ্য, উক্ত মন্দির ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় রহিম খান, আলাল উদ্দিনসহ ৮ ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও আসামিরা হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন।