অবহেলা ও অযত্নে রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটির বেশিরভাগ অংশই নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে গেছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে ইটসহ দামী সৌখিন দরজা, জানালা ও লোহার জিনিসপত্র।
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা হয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীর পূর্ব তীরে মালদুয়ার জমিদার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হলে রাজা টংকনাথ চৌধুরী ১৭ আগস্ট স্বপরিবারে ভারতে চলে যান। সেই থেকে পরিত্যক্ত একসময়ের বিলাশ বহুল এই প্রাসাদটি।
কালের সাক্ষী রাজা টংকনাথের রাজবাড়িকে সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের। তারা জানান, পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে এখান থেকে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি পুরার্কীতিটিও রক্ষা পাবে।
চারপাশে ছিন্নমূল মানুষের বসবাস। প্রাকৃতিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে এই রাজমহল। তাই দুর্গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকাও দায় হয়েছে এখানে। যদিও রাজবাড়িটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, রানীশংকৈলের পরিত্যক্ত রাজবাড়ি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সরকার চাইলে পুরাতন এই রাজবাড়িটি কালের সাক্ষী হিসেবে ধরে রাখা সম্ভব হবে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই জনপদটি ছিল ‘মালদুয়ার’ পরগণার অন্তর্গত। পরে টংকনাথ ব্রিটিশ সরকারের আস্থা লাভ করে মালদুয়ার স্টেট গঠন করেন।
কথিত আছে, টাকার নোট পুড়িয়ে জনৈক ব্রিটিশ রাজ কর্মচারীকে চা বানিয়ে খাইয়ে টংকনাথ চৌধুরী উপাধি লাভ করেন। এরপর দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজা নাথ রায়ের বশ্যতা স্বীকার করে রাজা উপাধি পান।