ණ☛ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি বলেছেন, জাতিসংঘকে দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না। এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। দুই দিনের সফরে শুক্রবার তিনি বাংলাদেশে অবতরণ করেন। ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই বিষয়ে নাক গলানো ফলপ্রসূ নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিৎ বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছুতে সহায়তা করা।
ණ☛ তিনি আরো বলেন, চীন শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীন নিরপেক্ষভাবে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সঙ্গে আছে। এ ইস্যুতে চীন কারো পক্ষপাতিত্ব করবে না। তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কটকে একটি জটিল পরিস্থিতি আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এ সমস্যার একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের (বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল) উন্নয়নও প্রয়োজন। এ ব্যাপারে চীন সহযোগিতায় প্রস্তুত’।
উল্লেখ্য, আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আশ্রয়দাতা বাংলাদেশ। সঙ্কটের আশু নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারস্থ হওয়া দেশটি মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে উদ্যোগের কোন কমতি রাখেনি। বস্তুত, মিয়ানমার-ই শুরুর দিকে আলোচনায় অগ্রগতি আনতে লক্ষণীয় কোনো ভূমিকা গ্রহণ করে নি। ফলে, বাধ্য হয়েই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারস্থ হয়ে সমাধানের পথ সুগম করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ණ☛রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি তাকে জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সঙ্কটের আশু সমাধানের নিমিত্তে মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাশাপাশি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে শীঘ্রই এর একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধানে পৌঁছানো যায়। বিপুল পরিমানের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে হিমশিম খেতে থাকা দেশটির পক্ষে রোহিঙ্গাদের দিনের পর দিন বসিয়ে খাওয়ানোটা কষ্টকর বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।