মনে আছে রোজা সিনেমার সেই দৃশ্যটা… যেখানে মধু, নিস্তব্ধ শান্ত এক স্থানে মন্দিরের সামনে নারকেল ফাটানো মাত্রই ছুটে এসেছিল সেখানে মোতায়েন থাকা সশস্ত্র সেনারা৷ মণিরত্নমের সেই ছবির পাশাপাশি আরও বহু বহু ছবিতেই এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে৷ কখনও হাসপাতালের উদ্বোধন, কখনও ছবির শুভ মহরৎ অথবা গৃহপ্রবেশ৷ কিন্তু কেন নারকেল ফাটানোর এই রীতি প্রচলিত হয় জানেন কি? বিভিন্ন কারণ শোনা যায় এই নিয়ে, আর তা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে৷
উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে নারকেলের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে৷ কারণ হিসেবে বলা হয় সেখানে নারকেল গাছের সংখ্যা বেশি, এবং আঞ্চলিক ভাবে যে জিনিসের প্রাচুর্য থাকে‚ সেটাই হয়ে যায় দেবতার প্রসাদ৷ উত্তর ভারতের ক্ষেত্রে যেমন বেল অন্যতম৷
শোনা যায়, হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী‚ নারকেল নাকি সৃষ্টি করেছিলেন বিশ্বামিত্র মুনি এবং একে শ্রীফল বা মহাফলও বলা হয়ে থাকে৷ বহু সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, শুভ কাজের আগে নারকেল ফাটানোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নরবলির প্রাচীন রীতি৷ নরবলি বর্বরতা-নিষ্ঠুরতার পরিচায়ক মনে করে তার স্থান নেয় নারকেল৷ যাকে নরমুণ্ডর বিকল্প হিসেবে ধরা হয়৷
অন্যদিকে, প্রাচীন স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ভাষায় ‘কোকো’মানে মানুষের মাথা, তার থেকেই ‘কোকোনাট’ শব্দের জন্ম৷ পাশাপাশি নারকেলের চোখের জন্য একে নরমুণ্ড হিসেবে মনে করার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়৷ নারকেল ফাটানো অর্থে অনেকে মনে করেন, ঈশ্বরের সামনে নিজের অহঙ্কার বিসর্জন দেওয়া৷ যদিও এই বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক রয়েছে অনেক৷