রোহিঙ্গাদের আবাসনে ভাষানচরে অবকাঠামো নির্মাণে ২৩১২ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশ্রায়ণ-৩ প্রকল্প নামে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে নৌবাহিনী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
সন্দ্বীপ থেকে ৪.২ নটিক্যাল মাইল দূরে ভাষানচরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় প্রত্যাশীর জন্য ১২০টি গুচ্ছগ্রামে প্রায় দেড় হাজার ব্যারাক হাউজ, ১২০ শেল্টার স্টেশন, অভ্যন্তরিণ সড়ক, পানি ও জেনারেটরসহ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় রাডার স্টেশন, ফেন্সিং, বেষ্টনী, ওয়াচ টাওয়ার, টহল যানবাহন, দ্রুতগতির স্পিডবোট, হেলিপ্যাডসহ নৌ বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ অবকাঠমো নির্মাণে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। চলতি শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
রোহিঙ্গাদের জন্য হাতিয়া সংলগ্ন ভাষানচরে সমন্বিত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সোয়া ২ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পসহ ১৪ প্রকল্পে মোট ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে একনেক।
এদিকে শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় দ্রুত সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ক্যাটাগরি অনুযায়ি সব সড়কের আকারগত সমন্বয় আনতে অনুশাসন দেন একনেক চেয়ারপারসন। নতুন সড়কগুলোর পাশে জলাধার, পথচারী ও হালকা যানবাহনের জন্য পৃথক রাস্তার রাখার নির্দেশনা।
এছাড়া ১৪টির মধ্যে ১২ নতুন প্রকল্পের মধ্যে বড় দাগে ময়মনসিংহের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় দেড় হাজার কোটি, মাদারীপুর শরীয়তপুর ও রাজবাড়ি জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে দেড় হাজার কোটি টাকার পৃথক দুটি প্রকল্প অনুমোদন পায়। পুরনো ২ প্রকল্পের মধ্যে কুমিল্লার শাসনগাছায় রেল ওভারপাস ও উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পে প্রথম সংশোধনীতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়।