বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বশিকোড়া গ্রামের হিন্দুপাড়ায় সোমবার রাতে দুর্গা মন্দিরের পাঁচটি প্রতিমার মাথা ও হাত ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা গেছে, বশিকোড়া গ্রামের হিন্দুপাড়ায় ৩০ পরিবার বসবাস করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দুর্গা মন্দিরে সব ধরনের পূজা করে আসছিল। প্রায় সাত মাস আগে ওই মন্দিরে বম্বা, রাধাকৃষ্ণ, নারায়ণের বাহক ও শিবসহ পাঁচটি প্রতিমা স্থাপন করা হয়। প্রতিদিন সেখানে হরি পূজা হচ্ছিল। প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যার দিকে মন্দির সংলগ্ন বাড়িতে বসবাসকারী গৃহবধূ ছবি রাণী পূর্জা-অর্চনা করেন। তিনি মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে পূজা করতে গিয়ে দেখেন প্রতিমাগুলোর মাথা ও হাত নেই। ভাংচুরের পর দুর্বৃত্তরা ভাঙা অংশ নিয়ে গেছে।

দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল চন্দ্র দাস জানান, তাদের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ নেই। রাতের আঁধারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর আগেও এই মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছিল। এদিকে মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা রেজাউল করিম, পুলিশের আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আলমগীর রহমান ও থানার ওসি (তদন্ত) কিরণ রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।