চার্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, এ চার্চের বয়স ১১৪ বছর। ১৯০৩ সালে চার্চের প্রথম ধাপের কাজ শেষে হয়। পরে সে বছরই ২৬ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় এই এপিফানী গির্জা, এটি বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন চার্চ নামেও বহুল পরিচিত। ১৯০৭ সালে এর দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হয়। সিস্টার এডিথের স্কেচ ও ডিজাইন অনুসারে ফাদার স্ট্রং এ গির্জার নকশা চূড়ান্ত করেন, প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক ফ্রেডেরিক ডগলাস। নির্মাণের ১১৪ বছর পরেও আজও এর সৌন্দর্যের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।
চার্চের ব্যবস্থাপক বেনডিক্ট বিমল ব্যাপারি বলেন, ‘ধর্মীয় পরিবেশের পবিত্রতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজস্ব সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়া সাধারণদের জন্য চার্চের সীমানার ভেতর প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ।’
জানা যায়, গির্জা ছাড়াও ছোট-বড় তেরটি পুকুর, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আবাসিক ছাত্র হোস্টেল, ফাদার ও সিস্টারদের আবাসন, পাঠাগার ও হাসপাতাল আছে এ চার্চ প্রাঙ্গণে। সেখানেই বসবাস করেন চার্চের সেবায়েত লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্ট ওরফে লুসি হল্ট। ৫৭ বছর ধরে অক্সফোর্ড মিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি।
লুসি হল্ট জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহত মানুষদের সেবা দেওয়ার কারণে স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তার। ঐতিহাসিকতা ও সৌন্দর্যের কারণে স্থানীয়রা এ চার্চের প্রতি বেশ আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরের কাস্টডিয়ান শাহীন আলম বলেন, ‘এটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে যেভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে সেজন্য চার্চ কর্তৃপক্ষের ধন্যবাদ প্রাপ্য। তবে এটি সবার জন্য উম্মুক্ত করা হলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।’