ধামরাইয়ে প্রিয়াংকা পাল নামে এক এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে কর্মস্থলের সপ্তম তলা ভবন থেকে উদ্ধার করেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই পৌরসভার উত্তর পাঠানটোলা মহল্লার প্রহল্লাদ পালের মেয়ে প্রিয়াংকা পাল ওরফে মৌসুমি সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে লেখাপড়া করার পাশাপাশি ধামরাইয়ের কালামপুরে সজাগ নামে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থার সংঙ্গীত প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার সে কর্মস্থল কালামপুর সজাগ সেন্টারে যান।
কিন্তু সন্ধ্যায় সজাগ সেন্টারের সপ্তম তলায় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মীরা প্রিয়াংকাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেয় এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে এবং তার নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখে গেছেন তার মৃত্যুর জন্য ধামরাই পৌর এলাকার সুনিল পালের ছেলে তন্ময় পাল ও তার পরিবার দায়ী।
অনেকে আবার ধারনা করছেন, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে একটি এনজিওর সপ্তম তলার অফিসে প্রিয়াংকা পাল আত্মহত্যা করতে পারে না। তাদের ধারণা, সজাগ অফিসের কোন স্টাফের সঙ্গে প্রেম ঘটিত অথবা ধর্ষণের কারণে তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, প্রিয়াংকার মৃত্যু রহস্যজনক। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।