অপহরণের ২২ দিন পর নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের তিন টুকরা খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টায় কালিরবাজার স্বর্ণ মার্কেটের আমলাপাড়া এলাকায় সেফটি ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যে লাশ পঁচে গলে গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক লেনদেনের বিরোধ নিয়ে এই হত্যাকান্ডে ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে নিহত প্রবীরের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার পিন্টু এবং বাপন ভৌমিক নামের এক স্বর্ণ কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রবীর ঘোষ কালীরবাজার ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক। গত ১৮ জুন থেকে সে নিখোঁজ ছিল। প্রবীরের সন্ধান চেয়ে ২০ দিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী, নিহতের স্বজন, বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের লোকজন মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আসছিল। এর মধ্যে নিহতের পরিবার প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করে।
প্রবীর ঘোষের নিখোঁজের ঘটনায় বাবা ভোলানাথ দাস বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি করে। ওই জিডির তদন্ত পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়। ডিবি পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করে পিন্টু ও বাবু নামের দুইজনকে আটক করে। তার মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু স্বীকার করে প্রবীর ঘোষের বিষয়টি। পরে তার দেখানো মতেই সোমবার রাতে শহরের আমলপাড়া এলাকার ঠান্ডু মিয়ার ভবনের সেফটিক ট্যাংক থেকে তিনটি বস্তায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। কয়েকটি ব্যাগে করে ট্যাংকিতে লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এস আই মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৮ জুন সকালে সোনারগাঁয়ের বারদী উদ্দেশ্যে যান স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে তার মোবাইলফোনে একটি কল আসলে সে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৯ জুন সকালে নিখোঁজ প্রবীর ঘোষের বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন।
নিহত প্রবীরের পরিবারের স্বজনরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। তারা এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে প্রবীরকে হয়তো জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো।