বাংলার ভেনিসখ্যাত আমাদের এই বরিশাল শিক্ষা – সাহিত্য – ক্রীড়া – সংস্কৃত ও শিল্প সমৃদ্ধ বরিশাল একটি ঐতিহ্যবাহী শহর। বরিশালে রয়েছে একটি গৌরবময় ইতিহাস। ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। সবদিকদিয়েই সেই প্রাচীনকাল থেকে সমৃদ্ধশীল চারিদিকে জালেরমত বিছিয়ে থাকা নদী ঘিরে রেখেছে বরিশালকে শহরের মধ্যে দিয়ে অসংখ্য খাল নদীর সাথে যুক্ত হয়ে জোয়ার ভাটার খেলায় মত্ত। নদীর মোহনায় ঝাকে ঝাকে রূপালী ইলিশ বরিশালের অন্যতম সম্পদ। ভৌগোলিকভাবেই বরিশাল বাংলাদেশের অন্যতম অঞ্চল থেকে একটু আলাদা। ভূ গঠন নদনদী এবং বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকা বলেই প্রলয়কারী ঘূর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসের সাথে সংগ্রম করে নিজেদের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখতে গিয়ে এ অঞ্চলের মানুষ হয়ে উঠেছে দুঃসাহসী ও সংগ্রামী । রুপসী বাংলার অপরুপ প্রাকৃতিক সুন্দর্য মন্ডিত এ বরিশালকে বলা হয় প্রাচ্যের ভেনিস / গ্রেনারী অব বেঙ্গল শিক্ষার মান ও পরিবেশের জন্য বরিশাল বি.এম কলেজকে বলা হতো অক্সফোর্ড অব দি বেঙ্গল।
বরিশাল আজ বিভাগীয় শহর দেশের ৫ম সিটি কর্পোরেশন । এই বরিশালে জন্ম নিয়েছেন সত্য প্রেম পবিত্রাতার অবতার ও দানবীর মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত, চারণ কবি মুকুন্দ দাশ, জাতিয়তাবাদের স্থাপতি শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক, রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, মাটি ও মানুষের কবি সুফিয়া কামাল সহ অসংখ্য খ্যাতিমান ব্যাক্তিবর্গ। এই বরিশালেই জন্ম নেয় আরেক কিংবদন্তী মহা নায়ক বরিশালে উন্নয়নের রুপকার এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং তিনি বরিশালের ২০০২ সালের নির্বাচিত প্রথম মেয়র। তার সময়েই নগরীর রূপ বদলের শুরু । তিনি বরিশালকে সন্ত্রাস ও মাদকের ভয়াবহ কাল ছায়া থেকে মুক্ত করেছেন। সকল বিভাগ ও অধিদপ্তরে কাজের মধ্যে সুষ্ঠ সমন্বয় তৈরীর মাধ্যেমে তিনি পরিকল্পীতভাবে বরিশালকে গড়ে তুলেছেন। সরকারি উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি ব্যাক্তিগত উদ্দোগে ১৪টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। তার সময় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠা, বরিশাল বেতার কেন্দ্র, শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা, বরিশাল শহর রক্ষা বাঁধ, বিমান বন্দর, সিটি কর্পোরেশন ভবন, দপদপিয়া সেতু, বরিশাল আন্তর্জাতিক মানের স্টোডিয়াম প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ ব্যাংক, জেলা আদালত ভবন নির্মান, বি. কে. এস. পি প্রতিষ্ঠা, ডায়াবেটিস হাসপাতাল, হার্ড ফাউন্ডেশন, মৃত্তিকা সম্পদ ইনষ্টিটিউট, নবনির্মিত সার্কিট হাউজ, মুক্তিযোদ্ধা নামফলক, বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার, বরিশালে বিবির পুকুর পারের চারিপার্শ্বে নির্মান করেন আধুনিক ওয়াক-ওয়ে, মহিলা কারিগরি কলেজ প্রতিষ্ঠা, পলাশপুর পূনর্বাসন কেন্দ্র ও মডেল স্কুল সহ আরও অনেক কর্যক্রম পরিচালনা করেন। বরিশালের সুন্দর্য বর্ধনে অনেক রাস্তা প্রসারিত করা এবং নতুন ড্রেন নির্মান করা, রাস্তার পাশে ফুটপাত নির্মান, বহু ফোয়ারা নির্মান করেন এবং বহু খাল খনন করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের আয় বারাতে ১১টি মার্কেট নির্মান করেন। বহু স্কুল, মাদ্রাসা, মন্দির ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। সিটি কর্পোরেশন বর্ধিত এলাকাকে বহু নতুন রাস্তা এবং সংযোগ সড়ক নির্মান করেন। বরিশাল উন্নয়নে এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার একজন নিবেদিত প্রাণ ব্যাক্তিত্ব। তার সময়েই বরিশালের রূপ বদলাতে শুরু করে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা বাস যোগ্য নগরী হিসেবে বরিশালকে গড়তে হলে মেয়র হিসেবে আবারো প্রয়োজন এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ারকে।
( বরিশালে সংখ্যালঘুদের নিবেদিতপ্রান এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার তার আমলে বরিশালের সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই ছিলো তার প্রচেশ্টায় প্রতিষ্ঠিত কাউনিয়া লোকনাথ মন্দির, হাসপাতাল রোডে অস্টকোনা মন্দির,শংকর মঠ সহ যোসেফ বিশ্বাস এবং ডেবিড বিশ্বাসের বাড়ী উদ্ধার সহ বহু ঘটনাই আছে রাত আর দিন নয় সব সময় তার সহযুুগিতা আমরা পেয়েছি )
সুমন হালদার আশীস ।
সভাপতি
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর ।।