নিরাপদ সড়কের দাবিতে সপ্তমদিনের মতো শনিবারও রাজধানী জুড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুপুরে ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা গুরুতর বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন।
জিগাতলায় এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। দিনভর ধানমন্ডি এলাকা ছিল উত্তপ্ত।
মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটে শনিবারও রাজধানীর রাজপথে কোন গণপরিহন ছিল না। গণপরিবহন না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। শিক্ষার্থীরা গাড়ির কাগজ ও চালকের লাইসেন্স আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখার পাশাপাশি যানবাহনের চালকদের সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের অনুরোধ করেছেন। সড়কে শৃংখলা ফিরাতে শিক্ষার্থীরা দিনভর চেষ্টা করেছেন। এ সময় অনেক অভিভাবক ও সাধারন মানুষও শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, লাঠি নিয়ে হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় রাস্তার পদচারীদেরকেও পেটানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিকসহ যারাই হামলার ছবি তুলছিল তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের অনেকেই হেলমেট পরা ছিলেন।
হামলার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে তাদের ধানমন্ডি কার্যালয়ে ঢুকিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনার সময় দলীয় কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লোকবল বৃদ্ধি করে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর ফের হামলা চালালে তিন জন আহত হয়।
বিকাল ৪টার দিকে কয়েকশো বিজিবি সদস্য সদর দপ্তর থেকে বেরিয়ে এসে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। আধা ঘণ্টা পর তারা ফিরে যান।