বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার থেকে কুমারী তমাশ্রী (১৪) নামের এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃতা তমাশ্রী সান্তাহার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শ্রী তপেস বাগচির মেয়ে। সে সদ্যঃসমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার সন্ধায় সান্তাহার পৌর এলাকার তারাপুর মহল্লার মন্দির এলাকায় ঘটনাটি ঘটছে।বুধবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অপহরণকারীদের মধ্যে দুজনের বাবাকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন অপহরণকারী সাদ্দাম হোসেনের বাবা সান্দিড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ ও অপহরণে সহযোগিতাকারী সাব্বির হোসেনের বাবা একই গ্রামের মুরশিদ আলী। জানা গেছে, কাশিপুর গ্রামের কৃষক তপেস বাগচির মেয়ে তমাশ্রী বাগচি এলাকার সান্দিড়া শহীদ সিরাজ খান মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে স্কুল শেষে স্কুল পাশে প্রাইভেট পড়ে তার পর বাড়িতে ফেরে। স্কুলে যাওয়া আসার সময়, সান্দিড়া গ্রামের রিকশাচালক আব্দুস সামাদের ছেলে ট্রাক্টরচালক সাদ্দাম হোসেন (২১) প্রায়ই তমাশ্রীকে প্রেম নিবেদন করত। সে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাদ্দাম হোসেন। সে তমাশ্রীকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। অন্যান্য দিনের মতো গত মঙ্গলাবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল তমাশ্রী। সে বাড়ি থেকে প্রায় দুই শ মিটার দুরে পৌর এলাকার তারাপুর মন্দিরের নিকট পোঁছালে দুই মোটরসাইকেলে চেপে এসে অপহরণকারী সাদ্দামসহ অপর চারজন জোরপূর্বক তমাশ্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাত ১২টার দিকে অপহরণকারী সাদ্দামের বাবা আব্দুস সামাদ ও সহযোগী সাব্বিরের বাবা মুরশিদ আলীকে আটক করে। এ ব্যাপারে আলমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। তমাশ্রীর পরিবার মামলা করার ব্যাপারে এখনো আগ্রহী নয়। তবে মামলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।