এম.ইসলাম জাহিদ
কেশবপুর উপজেলা সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমানের কাছে মনোনয়নপ্রত্র জমা দেন ইসমাত আরা সাদেক । এ সময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদের সদস্য হাসান সাদেক, সুফলাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক দলীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্বিতীয় বার দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন জরিপে আমি এগিয়ে থাকায় নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কেশবপুরের জনগন আমার সাথে রয়েছেন। আমি নৌকার প্রার্থী হিসেবে বলছি না, প্রধানমন্ত্রীকে আবার মতায় আনতে ভেদাভেদ ভুলে আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে। দেশনেত্রীর নৌকাকে জয়ী করতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে চলতে হবে।
বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পরপর দু’বার কেশবপুর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ইসমাত আরা সাদেক এর স্বামী প্রয়াত সাবেক শিামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর দু’বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে কেশবপুর আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। প্রয়াত সাদেক কেশবপুরের ব্যাপক উন্নয়ন করে মানুষের অন্তরে দৃঢ় অবস্থান তৈরী করেন।
বিগত ৫ বছরে ইসমাত আরা সাদেক চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন কাজ করেছেন। তাঁর হাত দিয়ে কেশবপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মান, মিনি স্টেডিয়াম, কেশবপুর কলেজ ও পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ, উপজেলার ভালুকঘর ও পাঁজিয়ায় দুটি নতুন বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মানসহ ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, উপজেলা ব্যাপী সোলার স্থাপন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান, সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীতে পাঁচতারা সমমানের নতুন রেস্টহাউজ নির্মান, উপজেলার বায়সা এলাকায় সরকারি কারিগরি প্রশিণ কেন্দ্র নির্মান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল, দুদ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, শিশুপার্ক নির্মাণসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ, রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসাসহ নানা অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছেন। এই নেতার হাত দিয়েই কেশবপুর ডিজিটাল হওয়ার সুযোগ পায়। সে কারনে এবারও প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ইসমাত আরা সাদেককে এমপি হিসেবে দেখতে চান এলাকাবাসী ও তৃণমূলের সাধারণ ভোটাররা। কেশবপুর আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে ইসমাত আরা সাদেক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।