আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দুই বছরের অধিক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগের রায়েও বেগম জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। তাই বেগম জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভাঙা হাট আর জমবে না। যত দিন যাচ্ছে ততই তাদের জনপ্রিয়তা ভাটা পড়ছে। বিএনপি মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য করেছে। তাদের অনেক নেতাকর্মীও এ নিয়ে বিক্ষোভ করছে। শনিবার দুপুর ১টায় নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ওটার হাটে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. এ.কে.এম জাফর উল্যাহ, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, জেলা পরিষদের সদস্য আলাবক্স টিটু, বাটইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা মোশারেফ হোসেন আলা উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তাহের বাদল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিন শাহীন প্রমুখ। মন্ত্রীসভা সম্পর্কে তিনি বলেন, মন্ত্রী সভার আকার ছোট বা বড় কী ধরনের হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর গৃহীত হবে। নির্বাচন পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ঠিকই আছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত কয়েকদিন ধরে নেতাকর্মী নিয়ে এ এলাকায় গণসংযোগ করে নির্বাচনে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। মওদুদ সাহেবের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তিনি জনগণের কাছে কিভাবে ভোট চাইবেন। গত ২২ বছর ২২টি কাজও তিনি দেখাতে পারবেন না। তারা তাদের গণসংযোগে নিজেরা বোমা ফেটে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তারা নিজেরা যেকোনো ঘটনা ঘটিয়ে এর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপাতে পারে। তাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।