সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ-সভাপতি অভিজিৎ বনিক বলেন, ‘১৯৭৫ পরবর্তী কোনও জাতীয় নির্বাচন সংখ্যালঘুদের জন্য সুফল বয়ে আনেনি। এনেছে নির্যাতন আর আর্তনাদ। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।’
অভিজিৎ বনিক আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর থেকে পরাজিত ও জয়ী সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও দলীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের দ্বারা সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়ে আসছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সময় নীরব ভূমিকা পালন করে। তাই একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অতীতের মতো মঠ-মন্দির, বাড়িঘর, পূর্বপুরুষের ভিটা বাড়িতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’
জাগো হিন্দু পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত বিভক্তির সময় সংখ্যালঘু ছিল ২৯.৭ শতাংশ। ১৯৭০ সালে ২০ শতাংশ। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শিকার হয়েছে, ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে। কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল স্বাধীন দেশের জন্য। আজকে সরকারি হিসাব মতে, সংখ্যালঘু ২০ শতাংশ থেকে ৯.৭ শতাংশে নেমে এল কেন?’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, সংখ্যালঘু থাকা মানে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকা, মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্ব থাকা। দেশ যদি সংখ্যালঘু শূন্য হয়ে যায়, তাহলে অনিবার্যভাবেই হয়তো গণতন্ত্রের পথে এক নতুন সংকট সৃষ্টি হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘুদের রক্ষায় নির্বাচন কমিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে ১০টি দাবি তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগো হিন্দু পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় বনিক ও সাধারণ সম্পাদক নিতাই দেবনাথ প্রমুখ।