এহসানুল করিম বলেন, ‘সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস ও সংগ্রাম সম্পর্কে নতুন রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, গত ৪৭ বছরে বাংলাদেশে একমাত্র তার সরকারের পূর্ণ মেয়াদ শেষে ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়। তার সরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে মিলার জানান, আগামী সাধারণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩২ জন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসবেন। রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও আশ্বস্ত করেন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ বাসভূমে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানান রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের শিক্ষা খাতকে আরও উৎসাহিত করতে চায়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন অত্যন্ত শক্তিশালী বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
সাক্ষাতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার দল আওয়ামী লীগের দুই কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও দলের নেতাকর্মীদের এসব বিষয়ে ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান শেখ হাসিনা। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জনে তার সরকার সক্ষম হবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।