মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ও তৎকালীন সময়ে সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের উপর নির্মম নির্যাতনকারী রাজাকার পুত্র ও রাজাকারের মেয়ে
জামাতার হাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা থাকায় ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের
মানুষ।
ভীতরে ভীতরে চরম ক্ষোভ থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শাহে আলম ও
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ভয়ে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
তবে রাজাকার পুত্র শাহে আলমকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ায় নির্বাচনী এলাকার
দুই উপজেলা জুড়ে নানান আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি হিন্দু
নির্যাতনকারী রাজাকার পুত্র ও রাজাকারের মেয়ে জামাতাকে ভোট না দেয়ারও দাবী
উঠেছে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন মহল থেকে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করায় শাহে
আলমের পিতা বঙ্গবন্ধুর সাশনামলে দীর্ঘদিন কারাভোগও করেছিলেন।
ওইসময়ের প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, শাহে আলমের পরিবার ও
আত্মীয় স্বজন ছিলো মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী। শাহে আলমের আপন চাচা ছিলেন
বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়া শাহে আলমের শশুর
আজিজুল হক ছিলেন গাভা ইউনিয়নের পিচ কমিটির সভাপতি ও ফাঁসির রায় কার্যকর
হওয়া সাকা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অত্মীয়।
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহে আলমের ব্যবহৃত মোবাইল
ফোন (০১৭১১-১১৩৬৮৬) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না
করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।