ন হন্যতে
ন হন্যতে কেই বা সবাই হন্যমানে
সহজ কথার হতেই পারে অন্য মানে
লোকবলয়ে সান্ধ্যগানে আলোর রেখায়
হৃদয় খোঁজে নির্জনতা নিবিড় চাওয়ায়
দংশন দাগ নিম্নমুখী অধর ছেড়ে
উপদ্রুত শরীর শিথিল হয় আদরে
রক্ত ঘামের লবণ বয়ে যায় ক্ষরণে
রূপ রস ঘ্রাণ বিলীন হয়ে যায় জারণে
অনন্ত পথ হাঁটতে চাওয়ার অঙ্গীকারে
ধ্বংসচিহ্ন বিজয় কেতন এই আধারে।
ন হন্যতে কোন বিদেহী খাঁচায় ফেরে
বাঁচার মানে খুঁজতে গিয়ে এই শরীরে?
ন হন্যতে কেউ বা সবাই হন্যমানে যদিও
সহজ কথার হতেও পারে অন্য মানে।
লোকারণ্যে মঞ্চের আলোকবলয়ে কলকোলাহলে
একটু স্বার্থপর নির্জনতা খোঁজা –
নিজের জন্য নিবিড় চাওয়া।
দংশনের স্মৃতি অধর ছেড়ে ক্রমশ নিম্নমুখী হয়,
উপদ্রুত শরীর শিথিল হয়ে আসে আদরের আবেশ কল্পনায়..
রক্ত ঘাম অশ্রুর লবণ-সাম্য বিঘ্নিত হয়েছে বহু ক্ষরণে
রূপ রস ঘ্রাণও ভস্মীভূত সময়ের জারণে।
তবু জেগে থাকা অনন্ত পথ হাঁটতে চাওয়ার অভীপ্সায়
আপাদমস্তক ধ্বংসচিহ্নগুলো ধারণ করেও স্মিত মুখ নারী।
আঘাতের চিহ্নগুলো বিজয়কেতন হয়ে উড্ডীন –
আঃ! কী অবর্ণনীয় যন্ত্রণা যাপন অনাদিকাল থেকে!
বন্ধনের পিছুটানেই বুঝি বিদেহী আত্মা অবীনশ্বর?
বাঁচার মানে খুঁজতে এসে যদি জবাবদিহি চায়,
এই সহনশীলতার কৈফিয়ত কী দেব?
অতৃপ্তি নিয়েই ব্রহ্মাণ্ডে বিলীন হোক আমার
ন হন্যতে কোনও অবশেষ যদি থেকেও থাকে।