ঢাকা- ৬ (ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর এবং কোতোয়ালি ও বংশালের একাংশ) আসনে প্রচারণা চালাতে মাঠে নেমেছেন মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের কাজী ফিরোজ রশিদ। তার পক্ষে ভোট চাইছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও। তবে মাঠে নেই গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরী। এই নেতার ধানের শীষের প্রচারণা শুধু মানুষের মুখে মুখে।
ঐক্যফন্টের নির্বাচন পরিচালনা মিডিয়া কমিটির কো-অর্ডিনেটর লতিফুল বারী হামীম বলেন, ‘ধানের শীষের প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই এলাকায় প্রচারণা শুরু করে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। গ্রেফতার আতঙ্ক ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের হুমকির মুখে আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না। দু-চার জায়গায় পোস্টার লাগালেও তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।’
সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গায় আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। মানুষের মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আমাদেরই ভোট দেবে। তবে, প্রতিটি জায়গাতেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘সংসদে যে কয়দিন বক্তব্য দিয়েছি, এই এলাকা নিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। পুরান ঢাকার মূল সমস্যা পানি ও রাস্তাঘাট। পানির সমস্যা ৮০ ভাগ সমাধান করেছি। আশা করি, আগামীতে শতভাগ সমাধান করা সম্ভব হবে। আমি আশাবাদী, মহাজোটের উন্নয়ন ও এলাকায় শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে জনগণ।’
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন অল্প কিছু লোকজন নিয়ে সুব্রত চৌধুরী ভোট চাইতে নামলেও তা স্বল্প পরিসরে। বিএনপির কাউকে প্রার্থী না করায় প্রায় অপরিচিত সুব্রত চৌধুরীর প্রচারণায় জোর নেই। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও জোর দিচ্ছেন না।
এই আসনের বিভিন্ন এলাকায় নৌকার পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন রয়েছে। প্রতিদিনিই মাইকিং করে ভোট চাওয়া হচ্ছে এলাকায়। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন ফিরোজ রশিদের পক্ষে। তবে, এই আসনে সুব্রত চৌধুরীর ব্যানার পোস্টার চোখে পড়েনি। নেই মাইকিং বা অন্য কোনও প্রচারণাও।
স্থানীয়রা জানান, এই আসনে বিএনপির কোনও প্রার্থী না থাকায় দলের নেতাকর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। মুখে মুখে সুব্রত চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা চালালেও কেউ মাঠে নামছেন না।
ঢাকা-৬ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন- গণফ্রন্টের আহমেদ আলী শেখ (মাছ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ববি হাজ্জাজ (হারিকেন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আক্তার হোসেন (আম), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবু তাহের হোসেন (কাস্তে), জাতীয় পার্টি-জেপির সৈয়দ নাজমুল হুদা (বাইসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র হাজি মো. মনোয়ার খান (হাতপাখা)।