১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৫:৫৪
ব্রেকিং নিউজঃ

সুস্থ প্রতিযোগিতার অনুকূল পরিবেশ এখনও সৃষ্টি হয়নি: সুজন

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮,
  • 280 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখনও সৃষ্টি হয়নি বলে উল্লেখ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।  সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, আমরা সুজনের পক্ষ থেকে অনেক আগে থেকেই একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশঙ্কায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। দেরিতে হলেও সোহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু সমঝোতা হয়নি। তবে আশার কথা এই যে, রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিবেচনা করলে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখনও সৃষ্টি হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দান, হামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি ইত্যাদি কারণে অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচার কাজ চালাতে পারছেন না। সুজনের সংবাদ সম্মেলে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের যথাযথ ভূমিকা পালনের মধ্যদিয়ে নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা অতীব জরুরি।  সংবাদ সম্মেলনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সাংবাদিকদের সামনে তথ্য উপস্থাপন করেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের জানা মতে, ১৮৭১ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আমরা তথ্য বিশ্লেষণ করতে পেরেছি ১৮৪২ জনের। বাকি ২৯ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারিনি। তার কারণ হচ্ছে, প্রার্থীদের প্রার্থিতা স্থগিত ও তথ্য না থাকার কারণে।’ সুজন জানায়, শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে দেখা যায়, ১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যেই অধিকাংশ (১১৯৫ বা ৬৪.৮৭ শতাংশ) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা ৮০.৯৩ শতাংশ (২৮২ জন)। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা ৮০.১৩ শতাংশ (২৩০ জন), বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা ৬২.২২ শতাংশ (৯০ জন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫৯.৯৩ শতাংশ (১৭৮ জন), অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে সংখ্যা ৫৪.৪৬ শতাংশ (৩৭৮ জন) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সংখ্যা ৬৫.২৫ শতাংশ (৭৭ জন)। সেই হিসাব মতে, মহাজোট এবং জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার হার ৮০ শতাংশের বেশি। এছাড়া, ১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি না পেরুনো প্রার্থীর সংখ্যা শতকরা ১৪.৪৪ শতাংশ (২৬৬ জন)। সেই সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার কলাম পূরণ না করা ২১ জনকে ধরলে এই হার দাঁড়ায় ১৫.৫৮ শতাংশ (২৮৭ জন)। পেশা সংক্রান্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশেরই পেশা ব্যবসায়, যার সংখ্যা ৯৬১ জন বা ৫২.১৭ শতাংশ। জাতীয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার সবচেয়ে বেশি ৬৪.১১ শতাংশ। মামলা সংক্রান্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩১৩ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। অতীতে মামলা ছিল ৪২২ জনের বিরুদ্ধে। অতীত ও বর্তমান সময়ে মামলা ছিল বা রয়েছে এমন প্রার্থী সংখ্যা ১৬৬ জন। ৩০২ ধারায় মামলা রয়েছে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে, অতীতে ছিল ২১২ জনের এবং উভয় সময় আছে বা ছিল ১২ জনের। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী ও নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় সংক্রান্ত তথ্য, প্রার্থী ও নির্ভরশীলদের সম্পদের তথ্য, দায়দেনা ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য, আয়কর সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়েছে, বিরোধীদলের প্রার্থীরা গ্রেফতার হচ্ছেন, তারা জেলে আছেন এবং অনেকের

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »