ভারতের কেরালায় একটি হিন্দু মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকার নিয়ে বিরোধের মধ্যে লৈঙ্গিক সমতার দাবিতে ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেছেন নারীরা। কেরালার সবরীমালা মন্দিরে ঐতিহ্যগতভাবে ঋতুমতী নারীদের (১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী) প্রবেশ করা নিষেধ।
এই ব্যবস্থা ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী উল্লেখ করে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় দেন। এরপর থেকে মন্দিরটির উদ্দেশ্যে আসা নারী দর্শনার্থীরা হামলার মুখে পড়ছেন। এ অবস্থায় কেরালার বামপন্থী জোট সরকারের উদ্যোগে এ ‘নারীপ্রাচীর’ গড়ে তোলা হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, এ প্রাচীর গড়ে তুলতে কেরালার সব জাতীয় মহাসড়কে প্রায় ৫০ লাখ নারী যোগ দিয়েছিলেন। রাজ্যটির সর্ব উত্তরের শহর কাসরাগড থেকে সর্ব দক্ষিণের শহর থিরুভানথাপুরাম পর্যন্ত এই মানবন্ধন বিস্তৃত ছিল।
উদ্যোক্তারা এই মানবপ্রাচীরে ৩০ লাখের মতো জমায়েত আশা করছিলেন। কিন্তু উপস্থিতির সংখ্যা তাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যায়। কেরালার কর্মকর্তারা জানান, সবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতি সমর্থন জানানো ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর উদ্যোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রত্যয়েই এই মানব শিকল গড়ে তোলা হয়।
এতে অংশগ্রহণকারী এক তরুণী বলেন, সব বয়সী নারীদের ওই মন্দিরে প্রবেশের অধিকারকে সমর্থন করি আমি। ঐতিহ্য বা কোনো ধরনের পশ্চাৎপদতা নারীদের থামাতে পারবে বলে আমি মনে করি না। যারা প্রার্থনা করতে চায় তাদের অবশ্যই প্রার্থনা করার অধিকার আছে। সূত্র: বিবিসি