নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মধ্য চর বাগ্যা গ্রামে গণধর্ষণের শিকার সেই নারীর অবস্থা উন্নতির দিকে। বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে ঐ নারীর স্বজন ও হাসপাতালের আরএমও সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এ দিকে এ ঘটনায় মামরার প্রধান আসামি মো: সোহেলকে বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুরার মহেশপুরের একটি ইট ভাটা থেকে গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ। এ নিয়ে এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর দিকে ঘটনার মূল হোতা সাবেক মেম্বার রুহুল আমিন কে আসামি না করায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৩ সদস্য একটি টিম ও বিকেলে চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজি ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গত ২দিনের চেয়ে ঐ নারীর অবস্থা উন্নতির দিকে। তার নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে(৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। সে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। গত সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীরর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।