একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে এই স্মারকলিপি জমা দেয়।
প্রতিনিধি
দলে ছিলেন আরো ছিলেন— কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী,
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক
মোস্তফা মহসিন মন্টু ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তা পড়ে শোনান মির্জা ফখরুল। নির্বাচনের আগের রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সহায়তায় আওয়ামী লীগের কর্মী ও সন্ত্রাসীরা ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালট বাক্স ভরে রাখে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
যেসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন সেসব আসনেও ‘কারচুপি’ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এসব আসনেও ডাকাতি হয়েছে, তবে তারা কুলিয়ে উঠতে পারেনি।’
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
মহাজোটের শরিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৬টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাসদ দুটি, বিকল্পধারা দুটি এবং বাংলাদেশ জাসদ, তরীকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি করে আসন পায়। এ ছাড়া বিএনপি পাঁচটি, গণফোরাম দুটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটি আসন পায়।
মহাজোট থেকে নির্বাচিতরা বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ শপথ নেননি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, তারা শপথ নেবেন না। তিনি বলেন, ‘শপথ পার হয়ে গেছে, প্রত্যাখ্যান করলে শপথ থাকে নাকি আর? আমরা শপথ নিচ্ছি না, পরিষ্কার করে বললাম।’
এরপর বিকেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দেয়।