একাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে বিপুল ভোটে
জয়লাভের পর চমক
লাগানো মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা শপথ
নিয়েছেন। বঙ্গভবনের দরবার
হলে সোমবার (৭
জানুয়ারি) বিকাল ৩টা
৪৬ মিনিটে মন্ত্রিসভার ২৪
জন মন্ত্রী, ১৯
প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন
উপমন্ত্রীকে শপথ পাঠ
করান রাষ্ট্রপতি আবদুল
হামিদ।এর আগে
সাড়ে ৩টার দিকে
চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
শপথ নেন আওয়ামী
লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা। তার নেতৃত্বে টানা
তৃতীয় মেয়াদের সরকার
গঠিত হলো।রবিবার
(৬ জানুয়ারি) নতুন
মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে
শপথ নেওয়ার জন্য
তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের টেলিফোনে জানানো
হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মোহাম্মদ শফিউল আলম
রবিবার বিকালে সচিবালয়ে এক
সংবাদ সম্মেলনে নতুন
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নাম
ও তাদের দফতরের
তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা
করেন। তালিকা অনুযায়ী নতুন
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও
উপমন্ত্রীদের জন্য সরকারি
পরিবহন পুল থেকে
গাড়ি যায়। ওই
গাড়িতে চড়ে মন্ত্রীরা বঙ্গভবনে শপথ
নিতে যান।নতুন
মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ
নেওয়ার পরের দিন
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকাল
সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডির ৩২
নম্বরে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং
সকাল সাড়ে ১০টায়
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন
করবেন।
২৪ জন মন্ত্রী
আ ক ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, মো. আব্দুর রাজ্জাক- কৃষি মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মো. হাছান মাহমুদ- তথ্য মন্ত্রণালয়, আনিসুল হক- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আ হ ম মোস্তফা কামাল- অর্থ মন্ত্রণালয়, তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, ডা. দীপু মনি- শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এ কে আব্দুল মোমেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এম এ মান্নান- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন- শিল্প মন্ত্রণালয়, গোলাম দস্তগীর গাজী- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, জাহিদ মালেক- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সাধন চন্দ্র মজুমদার- খাদ্য মন্ত্রণালয়, টিপু মুনশী- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নুরুজ্জামান আহমেদ- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শ ম রেজাউল করিম- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মো. শাহাবুদ্দিন- পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বীর বাহাদুর উ শে শিং- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী- ভূমি মন্ত্রণালয়, মো. নুরুল ইসলাম সুজন- রেলপথ মন্ত্রণালয়, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মোস্তাফা জব্বার- ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। শেষের দুজন টেকনোক্র্যাট কোটায় শপথ নিতে যাচ্ছেন।
১৯ জন প্রতিমন্ত্রী
কামাল আহমেদ মজুমদার- শিল্প মন্ত্রণালয়, ইমরান আহমেদ- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জাহিদ আহসান রাসেল- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, আশরাফ আলী খান খসরু- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মুন্নুজান সুফিয়ান- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাকির হোসেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শাহরিয়ার আলম- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জুনায়েদ আহমেদ পলক- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বপন ভট্টাচার্য্য- স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুক- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মুরাদ হাসান- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শরীফ আহমেদ- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, কে এম খালিদ- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডা. মো. এনামুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মো. মাহবুব আলী- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তিনজন উপমন্ত্রী
বেগম হাবিবুন নাহার- পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, একেএম এনামুল হক শামীম- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়।