গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জমি দখলের প্রতিবাদ করাতে এক ইউপি সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে চেয়ারম্যানের ভাই। লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্যরা।
এলাকাবাসী জানায়, কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মকিমুল ইসলাম মকিমের ভাই মো. মিলন পারুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের সংখ্যালঘু বিজয় কৃষ্ণ মৃধা ও গোপাল চন্দ্র মৃধার ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে তিতাগ গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে কামাল হত্যাকাণ্ড মামলার মূল আসামি মাদক কারবারি মো. চান মিয়া চানুকে বাড়ি করে দিতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটে। পারুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সাধন কুমার এতে বাধা দেয় এবং মিলনকে বলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। আমার এলাকায় অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা সেখানে চানুর মতো একজন খারাপ লোক বাড়ি করলে এলাকা মাদকে ছেয়ে যাবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের ভাই মো. মিলন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাধন কুমারকে গত রবিবার বিকালে সাজাইল বাজারে লোকজনের সামনে মারধর করে।
সাধন কুমারকে মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ওই জমির এলাকায় (লক্ষ্মীপুর গ্রামে) সকালে পারুলিয়া ইউনিয়নের ১১ ইউপি সদস্য ও কুমারীয়া, লক্ষ্মীপুর, পারুলিয়া, সোনাডাঙ্গা গ্রামের শতশত লোক চেয়ারম্যান মো. মকিমুল ইসলাম মকিমের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করে।
এ ব্যাপারে জমির মালিক বিজয় কৃষ্ণ মৃধা ও গোপাল চন্দ্র মৃধা বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তবে বর্তমানে সরকারি হয়ে গেছে। তবে চেয়ারম্যার মো. মকিমুল ইসলাম মকিমের ভাই মো. মিলন জোর করে আমাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে মাদক কারবারি মো. চান মিয়া চানুকে জোর করে বাড়ি করে দিচ্ছে।
মানববন্ধনে পারুলিয়া ইউনিয়নের মেম্বার সাধন কুমার বলেন, চেয়ারম্যান মকিমের ভাই মিলন একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে চুরি, ধর্ষণ ও নারী ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যান মকিমের সহযোগিতায় সে এগুলো করে। এই মকিম-মিলন গং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের জায়গা জমি দখল করে তাদের ঘর ছাড়া করছে।