সম্প্রতি আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে খুঁজে পাওয়া দু’টি রহস্যময় পিরামিড নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্বে বাহামাস দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে পিরামিড দু’টির সন্ধান দেয় সিকিউরটিম-টেন নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল।
বৃহস্পতিবার আবিষ্কৃত পিরামিড দু’টির প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিকিউরটিম-টেন। আর মুহূর্তেই শুরু হয়ে যায় তর্ক-বিতর্ক। এক পক্ষের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এগুলো অতি প্রাচীন কোনো মানব সভ্যতার নিদর্শন। অনেক প্রাচীন আমলে ওই এলাকায় মানব বসতি ছিল। সে জাতির সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য অনেকটা চতুর্দশ শতক থেকে ষোড়শ শতকের মধ্য-আমেরিকান অ্যাজটেক জাতিদের মতো।
সিকিউরটিম-টেনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন স্কট ওয়ারিং পিরামিড দু’টির অস্তিত্ব দাবি করেন। তিনি ৩ডি ভিউয়ার ‘গুগল আর্থ’ ব্যবহার করে সমুদ্রের তলদেশ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এসময় পিরামিড আকৃতির অস্বাভাবিক কাঠামো দু’টি নজরে পড়ে তার।
ভিডিও প্রতিবেদনে ওয়ারিং বলেন, আমি বাহামাসের নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপের কাছে সমুদ্রের তলদেশে পিরামিড দু’টির অস্তিত্ব খুঁজে পাই। জায়গাটা ফ্লোরিডা থেকে খুব দূরে নয়। পিরামিড দু’টির অবস্থান বলে দিচ্ছে, এর আশেপাশের দ্বীপগুলোতেও প্রাচীন অ্যাজটেক জাতি বসতি স্থাপন করেছিলো।
প্রতিবেদনের উপস্থাপক টেইলর গ্লকনার বলেন, সমুদ্রের তলদেশে অবস্থান করার কারণেই কাঠামোগুলো এখনো পর্যন্ত টিকে আছে। কারণ পানির নিচে থাকা কোনো ভবনে সহজে মরচে পড়ে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঝড়-তুফান, ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি থেকেও তা অনেক বেশি নিরাপদে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আবিষ্কৃত পিরামিড দু’টি পৃথিবীর বুকে এখনও টিকে থাকা সবচেয়ে পুরনো যেকোনো কাঠামোর চেয়েও অনেক বেশি প্রাচীন। এতোদিন ক্ষয় হতে হতে পিরামিডগুলো ইতোমধ্যেই ধূলিকণায় পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, পিরামিড দু’টির আকৃতি দু’রকমের। একটা পিরামিডের আকৃতি অবিকল মিশরের পিরামিডগুলোর (যেগুলোর সবচেয়ে প্রাচীনটি খ্রিস্টপূর্ব ২৬৩০ থেকে ২৬১১ অব্দে তৈরি হয়েছিল) মতো। অপরটি মধ্য-আমেরিকার মায়া সভ্যতার (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-২৫০ অব্দে বিকাশ ঘটে) মন্দিরগুলোর মতো ধাপ বিশিষ্ট।