গোপণে দলীয় সভা করছে এবং জঙ্গীবাদে জড়িত সন্দেহে ঝটিকা অভিযানে চালিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থাতে ৩ ছাত্রীকে আটক করেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
সরকার বিরোধী প্রচারণার লক্ষ্যে সভা করছিলো চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া দুই ছাত্রী ও এক মাদ্রাসা ছাত্রী। পুলিশি অভিযানের সময় তারা বিবস্ত্র ছিলো জানা গেছে। এ সময় গৃহ তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জিহাদি বই জব্দ করা হয়।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাওনিয়া হানাফিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা করা হয়। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন শাহরাস্তি উপজেলার গাজী উম্মে হাফসা (২২), কচুয়া উপজেলার সাচার এলাকার তাছলিমা আক্তার (১৮) ও খাদিজা আক্তার (১৮)। এদের মধ্যে গাজী উম্মে হাফসা ও তাছলিমা আক্তার চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী। খাদিজা স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রী হলেও তার বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাওনিয়া হানাফিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পাশের একটি বাড়িতে সরকার বিরোধী প্রচারণা এবং ইসলামী ছাত্রী সংস্থার গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ছিলেন। দেশ ও সরকার বিরোধী গোপন বৈঠকের কথা জেনে স্থানীয় জনতা থানা পুলিশের কাছে সংবাদ দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপুল সংখ্যক জিহাদি বইসহ গাজী উম্মে হাফসা (২২), তাছলিমা আক্তার (১৮) ও খাদিজা আক্তারকে (১৮) আটক করে। তবে পুলিশ আসার আগেই মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ অন্যরা মাদ্রাসায় তালা মেরে পালিয়ে যায়। পরে মহিলা পুলিশের সাহায্যে ওই ৩ বিবস্ত্র ছাত্রীকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের কাছে ওই মাদ্রাসার লোগা সম্বলিত চাঁদা আদায়ের বই পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে তাদের কাছে মাদ্রাসার নামে অর্থ সংগ্রহসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মনির জানান, আটক তিনজন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্য। তারা যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের পক্ষে বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।