দেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকজ সংস্কৃতির কুমির পূজা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ পূজা-পার্বনে অংশ নেয়।
পূজার আয়োজকরা জানান, বর্তমানে কুমিরপূজা নামে প্রচলিত থাকলেও আসলে এ পূজার মূল নাম বাস্ত পূজা। যাদের বাস্তভিটা অর্থাৎ বসতি রয়েছে, তারাই শতশত বছর ধরে এ পূজা দিয়ে আসছেন। জনপদের বাস্তভিটা রক্ষায় বাস্ত দেবিকে সন্তুষ্ট করতেই বাংলা বছরের পৌষ সংক্রান্তিতে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বাস্ত দেবি কুমিরের পিঠে চরে পূজিত হতে আসেন।
পূজায় কুমিরই প্রধান অনুসঙ্গ হওয়ায় মানুষের মুখে মখে কুমির পূজা নামে বর্তমানে প্রচলিত। এদিকে পূজার এ কুমিরকে নিয়েও রয়েছে নানা লোক কাহিনী। পূজা শেষে মাটির তৈরি এ কুমিরের গলা কাটতে হয়। গলাকেটে প্রতীকী হত্যা করা না হলে মাটির কুমির জীবন্ত হয়ে জনপদের মানুষকে আক্রমন করতে পারে বলেও জনশ্রুত রয়েছে।
দুপুরে শহরের সুগন্ধা পাড়ের জেলে পাড়ায়, গুরুধাম, কাঠপট্টি ও বাশপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজ এ পূজা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।